‘প্রলয় গ্যাং’ ছাত্রলীগের নতুন সহযোগী সংগঠন: ঢাবি ছাত্রদল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৯:৩৫ পিএম

‘প্রলয় গ্যাং’ ছাত্রলীগের নতুন সহযোগী সংগঠন: ঢাবি ছাত্রদল

গত ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হলের সামনে জোবায়ের ইবনে হুমায়ুন নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে ‘প্রলয় গ্যাং। মারধরসহ বিভিন্ন চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দাবি করে এই গ্যাংকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ‘নতুন সহযোগী সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাবি শাখা।

প্রলয় গ্যাংস্টারের উদ্ভব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের ‘সিরিজ অপকর্ম’-এর প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢাবি শাখা ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা ওই আখ্যা দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়ে কার্জন হলের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে ওই বিক্ষোভ শেষ হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কখনও কোনো গ্যাংস্টার সংস্কৃতির জন্ম হয়নি। কিন্তু ছাত্রলীগ তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য এই গ্যাং সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে পেশিশক্তির মাধ্যমে নানা অপকর্মসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এসব অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানায় এবং সব সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলসহ সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি।’

ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, “রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি নব্য সন্ত্রাসী সংগঠন হচ্ছে প্রলয় গ্যাং, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন সেল।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগ তাদের অতীত ঐতিহ্যগত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অব্যাহত রেখেছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি, হলে সিট বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, মাদকের কারবার ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে ঘৃণ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে।”

 

বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!