তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম প্রতিকেজি ১৩ টাকা ৪২ পয়সা কমানো হয়েছে। এর ফলে প্রতিকেজির দাম পূর্বের ১০২ টাকা ৯ পয়সার বদলে ৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এই নতুন দাম ঘোষণা করেছে। এর ফলে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমেছে ১৬১ টাকা। এখন একজন খুচরা ভোক্তা ১ হাজার ৭৪ টাকা দিয়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
এদিন রাজধানীর বিইআরসি অফিসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম যৌক্তিকভাবে কমবে।
বিইআরসি কর্মকর্তারা জানান, সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।
বিইআরসি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘অটো গ্যাস’ (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও প্রতিলিটার ৫৭ টাকা ৫২ পয়সা থেকে ৫০ টাকা ৯ পয়সায় (ভ্যাট সহ) নেমে এসেছে। অর্থাৎ প্রতিলিটারে দাম কমেছে ৭ টাকা ৪৩ পয়সা।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত এলপিজির দাম একই থাকবে, কারণ এটি স্থানীয়ভাবে ৫শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।