খেলাপি ঋণ আবার বেড়ে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

মে ২৮, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম

খেলাপি ঋণ আবার বেড়ে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা

ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ আবারও বেড়ে মোট পরিমান দাড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। গত তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ সময়ে) খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। খেলাপী ঋণের এ পরিমান ব্যাংকখাতে মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রনীত হালনাগাদ খেলাপি ঋণের বিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

খেলাপী ঋণের বড় অংশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে। সর্বশেষ হিসেবে, এর পরিমান ৫৭ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ৬৫ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ডিসেম্বর ২০২২ শেষে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের অনিরীক্ষিত তথ্য দিয়েছিল। 
আবার কিছু ব্যাংকের ঋণ খেলাপি উপযুক্ত হলেও তা নিয়মিত দেখিয়েছে। তাই পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ খেলাপিযোগ্য হওয়ায় তা খেলাপী করা হয়। এজন্যই মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।

এদিকে, আগের বছরের মার্চ মাস শেষে ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। গত মার্চে তা বেড়ে হলো ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এক বছরে খেলাপি ঋণ বাড়লো ১৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।

এর আগে গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপী ঋণ বেড়ে হয়েছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলো এখন নিজেই নিজেদের ঋণ পুনঃতফসিল করছে। ফলে ব্যাংক চাইলেই খেলাপি ঋণ কমিয়ে দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। তাই খেলাপি ঋণের এ হিসেব প্রকৃত চিত্র নয়।আরও বেশি হতে পারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ প্রকৃত খেলাপী ঋণের পরিমান চিন্হিত করে তা কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে তাগিদ দিয়ে আসছে। আইএমএফ এর পরামর্শ হলো, পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণ, সন্দেহজনক ঋণ ও আদালতের আদেশে স্থগিতাদেশ থাকা ঋণকেও খেলাপি হিসেবে গন্য করতে হবে।

Link copied!