আগামী বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) থেকে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারা। রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সারাদেশে ৫৩ লাখের বেশি দোকানদার রয়েছে। এই দোকানগুলোর মাধ্যমে দুই কোটি ১৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করেন। এই মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-ব ঢাকা দক্ষিণ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান ও মহাসচিব হাফেজ হারুন, ঢাকা উত্তর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুর ইসলাম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত আমরা ক্ষুদ্র পুঁজির ব্যবসায়ীরা মেনে নিয়েছিলাম। তবে আমরা দেখলাম, এর মধ্যেও তৈরি পোশাকসহ সব শিল্পকারখানা চালুর রাখার সিদ্ধান্ত দিল সরকার।
তিনি বলেন, ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খোলার। সড়কে চলাচলের জন্য পুলিশ লাখ লাখ মুভমেন্ট পাস ইস্যু করল। খোলা থাকল কাঁচাবাজার। নির্মাণকাজও চলছে। প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটও চালু হলো। আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, শুধু দোকানপাট ও বিপণিবিতানের সঙ্গে আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ রাখা হলো।
কাঁচাবাজার, জনসমাবেশ, পর্যটন এলাকা ও ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে করোনা বেশি ছড়ায় উল্লেখ্য করে হেলাল উদ্দিন বলেন, কোথাও বলা হয়নি, দোকানপাট ও বিপণিবিতান থেকে এই মহামারি ছড়ায়। তাহলে কোন অপরাধে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়লা বৈশাখ ও ঈদের আগে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে তাঁদের পুঁজি বিনষ্ট করা হলো।
ব্যবসায়ী সংগঠনের এ নেতা বলেন, বর্তমান অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লোকসানে দিশেহারা হয়ে আত্মাহুতির মতো পথ বেছে নেওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি শ্রমিক-কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের অর্ধেক অর্থাৎ ৪৮ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ হিসেবে দেওয়ার দাবি জানাই।
এছাড়াও অর্থনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার আহ্বানও জানান তিনি।