সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১১:০৬ এএম
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পৃথক দুই নৌকা দুর্ঘটনায় অন্তত ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার একুয়েতার প্রদেশে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
মানবিক সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লুকোলেলা এলাকায় প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে চলা একটি নৌকায় আগুন ধরে যায় এবং সেটি কঙ্গো নদীতে উল্টে যায়।
মালাঞ্জে গ্রামের কাছে দুর্ঘটনায় নৌযানটির কার্গো ধ্বংস হয় এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে নদীর তীরের ১৫টি বাড়িতেও। এখন পর্যন্ত ২০৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তবে অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
এর আগের দিন, বুধবার, বাসাঙ্কাসু এলাকায় আরেকটি মোটরচালিত নৌকা ডুবে অন্তত ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও আরও কতজন নিখোঁজ আছেন তা স্পষ্ট নয়।
কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা, রাতের বেলায় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করার কারণেই বুধবারের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে উভয় দুর্ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় নাগরিক সংগঠনগুলো নৌদুর্ঘটনার জন্য সরকারের দুর্বল তদারকিকে দায়ী করছে।
ডিআর কঙ্গোতে নৌদুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। সীমিত সড়ক যোগাযোগের কারণে মানুষ নদীপথে যাতায়াত করে, যেখানে পুরনো কাঠের নৌকা ও হোয়েলবোটে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করা হয়। এসব নৌযানে সাধারণত লাইফ জ্যাকেট থাকে না এবং রাতের বেলায় যাত্রা করাই নিয়মে পরিণত হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতা জটিল হয়ে পড়ে এবং অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করা যায় না।
গত বছরই নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের ঝুঁকি নিয়ে সরকার সতর্ক করেছিল। জুন মাসে রাজধানী কিনশাসার কাছে একটি নৌকা ডুবে ৮০ জনের বেশি মারা যাওয়ার পরও এ সমস্যা রয়ে গেছে। খরচ কম হওয়ায় সড়কপথের বদলে মানুষ এখনও নদীপথকে বেছে নিচ্ছে।