নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ১১:৫১ এএম
ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফে বৃহস্পতিবার ভোরে হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ২৯ মিনিটে বঙ্গোপসাগরের ভেতরে, টেকনাফ থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার দূরে ৪ মাত্রার এ ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।
ভূকম্পনবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ভলকানো ডিসকভারি’ জানিয়েছে, কম্পন খুব সামান্য হওয়ায় টেকনাফের বেশিরভাগ মানুষই এটি টের পাননি। ভূমিকম্পটি কত গভীরে সংঘটিত হয়েছে সে তথ্য ওয়েবসাইটটি নিশ্চিত করতে না পারলেও ইউরোপীয়-মেডিটেরেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) বলছে, কম্পনের উৎস ছিল মাটির প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে।
গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে ঘনঘন ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে। তার পরদিন শনিবার আরও তিনটি মৃদু ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়। এসময় মিয়ানমারেও একাধিক ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের এনসিএস।
ভূমিকম্পঘন অঞ্চলে অবস্থান করায় ঢাকার বাসিন্দারা বাড়তি উদ্বেগে রয়েছেন। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীর দুর্বল ভবন কাঠামো বিপদের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে। রাজউকের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার প্রায় ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে এবং প্রাণহানি পৌঁছাতে পারে দুই লাখের বেশি।