মিস ইউনিভার্স ২০২০-২০২৫: চূড়ান্ত প্রশ্ন কী ছিল ও মুকুট বিজয়ীরা কী উত্তর দিয়েছিলেন?

শোবিজ ডেস্ক

নভেম্বর ২২, ২০২৫, ১০:১৪ পিএম

মিস ইউনিভার্স ২০২০-২০২৫: চূড়ান্ত প্রশ্ন কী ছিল ও মুকুট বিজয়ীরা কী উত্তর দিয়েছিলেন?

ছবি কোলাজ: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

প্রতি বছর যখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড শুরু হয়, সবার চোখ থাকে চূড়ান্ত প্রশ্নোত্তর পর্বের দিকে। এই মুহূর্তেই নির্ধারিত হয়—কে জিতবেন বিশ্বের সেরা সুন্দরীর মুকুট। এই মঞ্চে কেবল সৌন্দর্য নয়, প্রয়োজন হয় বুদ্ধিমত্তা, আত্মবিশ্বাস এবং বিশ্বের সামনে নিজের ভাবনা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতা। 

২০২০ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় নতুন একটি ট্রেন্ড লক্ষ্য করা গেছে। বিচারকদের প্রশ্নগুলো ক্রমশ আরও সামাজিক, মানবিক এবং পরিবেশগত বিষয়গুলোতে ফোকাস করেছে। এই সময়ের বিজয়ীরা, যাঁরা সৌন্দর্য ও প্রজ্ঞার অসাধারণ মিশ্রণ—প্রত্যেকেই তাদের উত্তর দিয়ে সারা বিশ্বকে মুগ্ধ করেছেন।

কিন্তু ঠিক কী ছিল সেই কঠিনতম প্রশ্নগুলো? আর কোন বিজয়ীর উত্তর তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে দিয়েছিল?

জানব সেই মুহূর্তগুলো, যেখানে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের একটি উত্তর একটি জীবন বদলে দেয় এবং কীভাবে বিশ্বসুন্দরীরা তাঁদের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে পৃথিবীতে পরিবর্তন আনার বার্তা দেন।

চলুন জানি সেই মুহূর্তগুলো, যেখানে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের প্রশ্নোত্তর একটি জীবনের পথ বদলে দিতে পারে। এই ছয় বছরের মুকুট বিজয়ীদের অনুপ্রেরণামূলক উত্তর দেখে বোঝা যাবে, কিভাবে বিশ্বসুন্দরীরা তাদের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমাজে পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।

 

মিস ইউনিভার্স ২০২৫: ফাতিমা বশ, মেক্সিকো

মিস ইউনিভার্স ২০২৫-এর মুকুট জিতেছেন মেক্সিকোর সুন্দরী ফাতিমা বশ। মেক্সিকোর জন্য এটি বিশেষ, কারণ ২০২০ সালের পর আবার মুকুট ফিরে পেয়েছে দেশটি। আগেরবার ২০২০ সালে আন্দ্রেয়া মেজা এই খেতাব জয় করেছিলেন। ৯ বছর ধরে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন।

ফাইনালে প্রতিযোগীদের দুটি প্রশ্ন করা হয়—একটি স্বতন্ত্র, একটি সাধারণ।

মিস ইউনিভার্স ২০২৫ বিজয়ী ফাতিমা বশ

‘মিস ইউনিভার্সের’ এই ৭৪তম আয়োজনে ফাইনালে প্রতিযোগীদের দুটি প্রশ্ন করা হয়—একটি স্বতন্ত্র, একটি সাধারণ।

ফাতিমার স্বতন্ত্র প্রশ্ন ও উত্তর-

প্রশ্ন ছিল, আপনার দৃষ্টিতে ২০২৫ সালে নারীদের জন্য চ্যালেঞ্জগুলো কী কী এবং কীভাবে আপনি মিস ইউনিভার্স খেতাব ব্যবহার করে বিশ্বের নারীদের জন্য নিরাপদ স্থান তৈরি করবেন?

উত্তরে তিনি বলেন, ‘নারীদের জন্য পৃথিবীটা এখন চ্যালেঞ্জের। একজন নারী ও মিস ইউনিভার্স হিসেবে আমি অন্যের কল্যাণে আমার বক্তব্য এবং শক্তি কাজে লাগাব; কেননা আমরা এখানে এসেছি কথা বলার জন্য, পরিবর্তনের জন্য এবং আমাদের সবই আছে। আমরা নারী, আমরা সাহসী—আমরা সবার সামনে দাঁড়িয়ে ইতিহাস গড়তে জানি।‘

প্রশ্ন: আজ আপনি মিস ইউনিভার্স ২০২৫ নির্বাচিত হলে এই প্ল্যাটফর্মকে কীভাবে তরুণীদের ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করবেন?

উত্তর (ফাতিমা বশ):

মিস ইউনিভার্স হিসেবে বলব, নিজের স্বকীয়তার শক্তিতে আস্থা রাখো। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো। তোমার স্বপ্নের মূল্য আছে। তোমার হৃদয় অমূল্য। তোমার মূল্য সম্পর্কে অন্য কেউ যেন সন্দিহান না হয়; কারণ, তুমি মূল্যবান। আর বলব, তুমি শক্তিশালী আর তোমার কণ্ঠস্বর সবার কানে পৌঁছে যাক।

ফাতিমার সংক্ষিপ্ত এবং শক্তিশালী উত্তরই ফাইনালে তার মুকুট নিশ্চিত করেছে। এই উত্তর থেকে বোঝা যায়, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মানই আসল শক্তি, যা প্রতিটি নারীর জন্য অনুপ্রেরণার বার্তা বহন করে।

 

মিস ইউনিভার্স ২০২৪: ভিক্টোরিয়া কিয়ের থিলভিগ, ডেনমার্ক

২০২৪ সালে মিস ইউনিভার্স বিজয়ী হয়েছেন ডেনমার্কের ২১ বছর বয়সী ভিক্টোরিয়া কিয়ের থিলভিগ। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার ৭৩তম আসরে মুকুটজয়ের মধ্য দিয়ে ইতিহাসেরও অংশ হয়েছেন তিনি।  এর আগে ডেনমার্ক থেকে কোনো প্রতিযোগী মিস ইউনিভার্সে বিজয়ী হননি। মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত এই আসরে ১২০-এর বেশি প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে তিনি সেরার মুকুট জয় করেছেন। 

মিস ইউনিভার্স ২০২৪ বিজয়ী ভিক্টোরিয়া কিয়ের থিলভিগ

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: “কেউ যদি আপনাকে মূল্যায়ন না করে, আপনি কীভাবে জীবনযাপন করবেন?”

উত্তর (ভিক্টোরিয়া): আমি প্রতিদিন আমার মতোই বাঁচব। প্রতিদিনের নিয়মে বাঁচব। অন্য কেউ নির্ধারণ করতে পারবে না আমি কীভাবে বাঁচব। কেউ যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করে, সেটা তার সমস্যা, আমার নয়।"

প্রশ্ন ২: “আজকের রাতে আপনাকে যে নারীরা দেখছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আপনার কী বার্তা থাকবে?”

 উত্তর (ভিক্টোরিয়া):

"বিশ্বের যেখান থেকেই আসুন না কেন, আপনার অতীত বা পরিচয় দিয়ে আপনাকে বিচার করা যাবে না। যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনি ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। সংগ্রাম চালিয়ে যান। আমি এখানে দাঁড়িয়েছি কারণ আমি ইতিহাস গড়তে চাই এবং আজ রাতে আমি সেটা করছি।

ভিক্টোরিয়ার আত্মবিশ্বাসী ও প্রেরণাদায়ক উত্তরই তাকে ২০২৪ সালের মুকুট এনে দিয়েছে।

মিস ইউনিভার্সের ৭২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ২৮ বছরের বেশি বয়সী নারীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গর্ভবতী নারী, মা ও বিবাহিত নারীর অংশগ্রহণ নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে। ৪০ বছর বয়সী মাল্টার প্রতিযোগী বিয়েট্রিস এনজয়া চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। ভিক্টোরিয়া এই বিজয়কে বৈচিত্র্য, ক্ষমতায়ন ও আধুনিকতার প্রতীক হিসেবে মনে করেন।

মিস ইউনিভার্স ২০২৩: শেইনিস প্যালাসিওস, নিকারাগুয়া

২০২৩ সালে নিকারাগুয়ার সুন্দরী শেনিস প্যালাসিওস চূড়ান্ত বিজয়ী হন। ২৩ বছর বয়সী শেইনিস প্রথম নিকারাগুয়ান হিসেবে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতেছেন। ৯০টি দেশের সুন্দরীদের পেছনে ফেলে শিরোপা জিতে নেন তিনি। ফাইনালের মঞ্চে তিনি একটি সিলভার রঙের ঝলমলে গাউন পরেছিলেন।

তিনি ইউনিভার্সিডাড সেন্ট্রোআমেরিকানা থেকে গণযোগাযোগে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।

প্রশ্ন- আপনি যদি এক বছরের জন্য অন্য কোনো নারীর জীবন যাপন করতে পারতেন, তবে কার জীবন বেছে নিতেন এবং কেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি মেরি ওলস্টোনক্র্যাফ্টকে বেছে নেন। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ লেখক এবং নারী অধিকারের প্রবক্তা।

শেইনিস বলেন, মেরি সমাজের বাধা ভেঙ্গে নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তিনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে চান।‘

মিস ইউনিভার্স ২০২৩ বিজয়ী শেইনিস প্যালাসিওস

শেইনিসের এই উত্তর শুধু তার আত্মবিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করে না, বরং নারীর ক্ষমতায়ন ও সমাজে পরিবর্তনের বার্তাও বহন করে।

মিস ইউনিভার্স ২০২২: আর’বনি গ্যাব্রিয়েল, আমেরিকা

২০২২ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতেছেন আর’বনি গ্যাব্রিয়েল। সারা বিশ্বের ৮৪ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে মিস ইউনিভার্সের ৭১তম আসরে সেরা হয়েছেন টেক্সাসের এই মডেল ও পরিবেশ-বান্ধব ফ্যাশন ডিজাইনার।

তিনজন ফাইনালিস্টের জন্য প্রতিযোগিতার শেষ পর্যায়ের প্রশ্নোত্তর পর্বে, গ্যাব্রিয়েলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যদি তিনি জয়ী হন তাহলে তিনি মিস ইউনিভার্সকে "একটি ক্ষমতায়ন এবং প্রগতিশীল সংস্থা" হিসেবে প্রদর্শন করতে কীভাবে কাজ করবেন ?

উত্তরে আর’বনি গ্যাব্রিয়েল বলেন, আমি একজন লিডার হিসাবে কাজ করতে চাই যে সবসময়ে বদলের সঙ্গে থাকবে।আমি প্রায় ১৩ বছর ধরে ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছি। আমি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে পোশাক শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ব্যবহার করি। আমি আমার ডিজাইনগুলিতে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করি এবং এমন নারীদের প্রশিক্ষণ দেই যারা মানব পাচার এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কারণ, আমাদের অবশ্যই নিজেদের উৎসগুলো ব্যবহার করে ভালো কিছুর উদাহরণ তৈরি করতে হবে। পরিবেশের পরিবর্তন আনতে এবং নারীর ক্ষমতায়ন করতে আমাদের উদ্ভাবনী হওয়া দরকার।"

মিস ইউনিভার্স ২০২২ বিজয়ী আর’বনি গ্যাব্রিয়েল

আমার মনে হয়, নিজের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও বিনিয়োগ করাটা ভীষণ জরুরি। লাগান। আমাদের সবার মধ্যে কোনো না কোনো প্রতিভা আছে। । নিজের প্রতিভা ব্যবহার করে অপরের ভালো করাই যায়। আমাদের প্রতিটি মানুষের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ঠ্য রয়েছে। এগুলো আমরা যখন অন্যদের মধ্যে রোপন করতে পারি, তখন আমরা তাদের বদলে ফেলি এবং এটিকে আমরা পরিবর্তনের বাহন হিসেবে ব্যবহার

প্রতিযোগীদের বয়সসীমা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেন‘আমার বয়স এখন ২৮ বছর। আর এটাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা। আমার পছন্দের একটি উদ্ধৃতি হচ্ছে, “এখন না হলে কখন?” কারণ একজন নারী হিসেবে আমার মনে হয়, বয়স দিয়ে আমাদের সংজ্ঞায়িত করা যায় না।’

 আর’বনি শুধু সৌন্দর্য নয়, বরং নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও অনুপ্রেরণার বার্তাও প্রদর্শন করেন।

মিস ইউনিভার্স ২০২১: হারনাজ সান্ধু, ভারত  

২০২১ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইসরায়েলের এইলাটে।

ভারতের জন্য এটি বিশেষ বছর, কারণ সুস্মিতা সেন ও লারা দত্তের পর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে ২১ বছর পর হারনাজ কৌর সান্ধু মিস ইউনিভার্সের মুকুট ফিরিয়ে আনেন। ২১ বছর বয়সী এই সুন্দরী তার আত্মবিশ্বাস এবং প্রজ্ঞার মাধ্যমে ফাইনাল মঞ্চে বিচারকদের মুগ্ধ করেছেন।

ফাইনাল রাউন্ডে হারনাজকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “বর্তমান সময়ে তরুণীরা যে চাপ মোকাবিলা করছেন, তাদের জন্য আপনি কী পরামর্শ দেবেন?”

উত্তর (হারনাজ সান্ধু):

‍‍`আজকের তরুণ প্রজন্ম সবচেয়ে বেশি যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা হল নিজেদের ওপর বিশ্বাস করা। আমরা প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র এবং সেটাই আমাদের সুন্দর করে তোলে। নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা বন্ধ করো এবং বিশ্বে আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটছে সেই সম্পর্কে কথা বলো।‍‍`

মিস ইউনিভার্স ২০২১ হারনাজ সান্ধু

তিনি আরও বলেন, ‍‍`এটাই তোমাদের বুঝতে হবে। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসো, নিজের হয়ে নিজে কথা বলো কারণ তুমিই তোমার জীবনের অধিনায়ক, তুমিই তোমার নিজের স্বর। আমি নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম এবং তাই আমি আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি।‍‍`

হারনাজের এই আত্মবিশ্বাসী ও অনুপ্রেরণামূলক উত্তর বিচারকদের মন জয় করে তাকে ২০২১ সালের মুকুট এনে দেয়।

মিস ইউনিভার্স ২০২০: অ্যান্ড্রিয়া মেজা, মেক্সিকো

২০২০ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার শিরোপা জেতেন মেক্সিকোর অ্যান্ড্রিয়া মেজা। সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এই মডেল তৃতীয় মেক্সিকান হিসেবে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জয় করেন।

প্রতিযোগিতার ফাইনাল প্রশ্নোত্তর পর্বটি ছিল বিশেষভাবে আলোচিত, কারণ তখন পুরো বিশ্বই কোভিড-১৯  মহামারির অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল।

প্রশ্ন: “যদি আপনি আপনার দেশের নেতা হতেন, তাহলে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কীভাবে কাজ করতেন?”

উত্তর (অ্যান্ড্রিয়া মেজা):

"কোভিড-১৯ এর মতো কঠিন পরিস্থিতি সামলানোর নিখুঁত উপায় হয়তো নেই। কিন্তু আমি যা করতাম, তা হলো—সবকিছু ভয়াবহ হওয়ার আগেই লকডাউন শুরু করতাম। আমাদের অনেক মূল্যবান জীবন হারিয়েছি, এবং সেই ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না। মানুষের নিরাপত্তাই হওয়া উচিত প্রথম কাজ, তাই শুরু থেকেই জনগণের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।"

মিস ইউনিভার্স ২০২০ অ্যান্ড্রিয়া মেজা

তার শেষ বক্তব্যটিও ছিল মনে রাখার মতো, ফাইনাল স্টেটমেন্টে তিনি যোগ করেন —

“সময় এগোবার সাথে সাথে সমাজে স্টেরিওটাইপও তৈরি হয়। কিন্তু আজ সৌন্দর্য শুধু চেহারায় নয়—এটি প্রকাশ পায় আমাদের আত্মায়, হৃদয়ে এবং আমরা কিভাবে অন্য মানুষের সাথে আচরণ করি তাতে।”

এই মানবিক এবং দায়িত্বশীল উত্তর বিচারকদের গভীরভাবে প্রভাবিত করে এবং মেক্সিকান এই সুন্দরীর মাথায় উঠে বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব।

 ২০২০ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত মিস ইউনিভার্স বিজয়ীরা প্রমাণ করেছেন, সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক নয়। তারা নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব, মানবিকতা এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার এক উদাহরণ। প্রতিযোগিতার ফাইনাল প্রশ্নোত্তর পর্বে  তাদের শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক উত্তর নারীদের জন্য বার্তা বহন করে—নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো, সাহসী হও, ইতিহাস গড়ো।

মেক্সিকোর ফাতিমা বশ জিতলেন মিস ইউনিভার্স ২০২৫–এর মুকুট

Link copied!