গাজায় যুদ্ধপরবর্তী প্রশাসন গঠনের পরিকল্পনা: নেতৃত্ব দিতে পারেন টনি ব্লেয়ার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম

গাজায় যুদ্ধপরবর্তী প্রশাসন গঠনের পরিকল্পনা: নেতৃত্ব দিতে পারেন টনি ব্লেয়ার

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধপরবর্তী গাজা উপত্যকা পরিচালনার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন করা হবে। যেটির নেতৃত্ব দিতে পারেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। একই বিষয়ে শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, টনি ব্লেয়ার যুদ্ধ পরবর্তী গাজা উপত্যকার প্রশাসন পরিচালনার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। তবে রয়টার্স বলছে, তারা এই পরিকল্পনার বিষয়ে তাৎক্ষনিক সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, পরিকল্পনাটির বিষয়ে টনি ব্লেয়ার, ইসরায়েল ও হামাস কর্তৃপক্ষের কেউ মন্তব্য করেননি।

এর আগে টাইমস অব ইসরায়েল প্রতিবেদনে বলেছিল, পরিকল্পনা তৈরিতে টনি ব্লেয়ার নিজেও অংশ নিয়েছেন। এই প্রশাসনের নাম হতে পারে ‘গাজা ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজিশনাল অথরিটি (জিইটিএ)’। টনি ব্লেয়ারকে এই প্রশাসনের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনাটি কার্যকর হলে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে।

ইসরায়েলি আরেক গণমাধ্যম হারেৎজের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, এই প্রশাসন অন্তত পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারে। এই প্রশাসনের কাঠামোর ধারণা নেওয়া হয়েছে তিমুর লেস্তে ও কসোভোর অন্তর্বর্তী সরকারের মডেল থেকে। প্রস্তাব অনুযায়ী, দক্ষিণ গাজার সীমান্তবর্তী মিসরের আল-আরিশ শহরে এই প্রশাসনের দপ্তর তৈরি হবে। পরে জাতিসংঘ অনুমোদিত আরব দেশগুলোর একটি নিরাপত্তা বাহিনীকে নিয়ে গাজার ভেতরে কার্যক্রম শুরু করবে। পরে তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।   

গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলার সময় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের কাছে গাজায় শান্তি স্থাপনের একটি পরিকল্পনা তুলে ধরেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের বক্তব্য অনুযায়ী, এই উদ্যোগটি সম্পর্কে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান ওয়াকিবহাল। 

মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এএফপি আরও জানায়, এই পরিকল্পনায় হামাস থাকবে না। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সীমিত ভূমিকা থাকবে। যে নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা হবে তাতে ফিলিস্তিনি সৈন্যদের সঙ্গে থাকবে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সেনারা। গাজা পুনর্গঠন ও নতুন প্রশাসনের জন্য তহবিল দেবে আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো।

অ্যাক্সিওস আরও জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা প্রথমে তৈরি করেন টনি ব্লেয়ার ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে জামাই জ্যারেড কুশনার। পরে তা গত ছয় মাসে হালনাগাদ করা হয়েছে।

Link copied!