জুলাই ৩, ২০২৩, ১০:৫৫ এএম
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একটি হত্যা মামলায় ফাঁসির আসামি মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন।
রবিবার (০২ জুলাই) কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সত্তরোর্ধ্ব এই বৃদ্ধকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার বিকালে তিনি জানান, “একটি হত্যা মামলায় ২০০৩ সালে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল রাত ১১টায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। তখন তার মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন।
তৎকালীন সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের সুপারিশে ফাঁসি কার্যকরের মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ মুক্তিযোদ্ধা রাখালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ মওকুফ করেন। পরে সাজার আদেশ মৃত্যুদণ্ড থেকে সংশোধিত হয়ে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, “রেয়াতসহ রাখাল নাহার মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছিলো ২০১৫ সালে। অথচ তখন তিনি মুক্তি পাননি। আজ মুক্তি পেলেন।”
প্রসঙ্গত, রাখাল চন্দ্র নাহা কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মৃত অক্ষয় চন্দ্র নাহার ছেলে। ১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জমির বিরোধে হোসেনপুর গ্রামের দীনেশ চন্দ্র দত্তকে হত্যা করা হয়। তিনি রাখালের জেঠাত বোনের স্বামী। এই হত্যা মামলায় আসামি করা হয় রাখাল ও তার ভাই নেপাল চন্দ্র নাহাকে। নেপাল মামলা চলাকালে পলাতক অবস্থায় মারা যান।