মার্চ ৬, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বেশ নড়েচড়ে বসেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গত তিনদিনে ডিএমপি রাজধানীর ১ হাজার ১৩২টি রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করেছে।
বুধবার (৬ মার্চ) ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৭২ জনকে এবং মামলা করা হয়েছে ২০টি। এছাড়া ৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, ঢাকা মহানগর এলাকায় হোটেল-রেস্তোঁরা, ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও রাসায়নিকের গুদামে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এর ধারাবাহিকতায় গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার মোট ১ হাজার ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ১৩২টি হোটেল-রেস্তোঁরা, ২০৭টি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও আটটি রাসায়নিকের গুদাম।
এদিকে ধারাবাহিক অভিযানের বর্ণনা দিয়ে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি উল্লেখ করেন, ‘৩ ফেব্রুয়ারি ২৭৫টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৪৭ জনকে। ওইদিন ২০৪টি প্রসিকিউশনে দায়ের করা হয়েছে পাঁচটি মামলা। দ্বিতীয় দিন ৪ ফেব্রুয়ারি ৪৫৫টি হোটেল-রেস্তোরাঁ, ১০৪টি ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান ও তিনটি কেমিক্যাল গোডাউনে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭০ জনকে। ওইদিন ২০৪টি প্রসিকিউশনে দায়ের করা হয়েছে পাঁচটি মামলা। তৃতীয় দিন ৫ ফেব্রুয়ারি ৪০২টি হোটেল-রেস্তোরাঁ, ১০৩টি ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান এবং পাঁচটি কেমিক্যাল (রাসায়নিক) গোডাউনে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২৮ জনকে। ওইদিন ১৯২টি প্রসিকিউশনে দায়ের করা হয়েছে ১০টি মামলা।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের একটি ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। অনুমোদন ছাড়াই ১৪টি রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান খুলে ব্যবসা করা হচ্ছিল ওই ভবনে।