প্রতারণাই পেশা তাই নাম রয়েল চিটিং ডিপার্টমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম

প্রতারণাই পেশা তাই নাম রয়েল চিটিং ডিপার্টমেন্ট

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

কখনো দামি ঘড়ির ব্যবসায়ী কখনো জমির ও রিসোর্ট ব্যবসায়ী। আবার সুযোগ বুঝে হয়ে যান ফার্নিচার ব্যবসায়ীও। এভাবেই প্রতারণা গ্রুপ গড়ে উঠে। সুযোগ বুঝে একেক সময় একেক সদস্য এই গ্রুপে কাজ করে। আর এজন্যই তারা নাম দেয় রয়েল চিটিং ডিপার্টমেন্ট। রবিবার পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমে এ কথা বলেন।
অনলাইনে জমি ক্রয়ের বিজ্ঞাপন দিলে সাইফুল ইসলাম (৩২) নামের এক ব্যক্তি ২৬ শতক জমি বিক্রয়ের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। জমির মূল্য নির্ধারণ করে জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জমিসংক্রান্ত কথা শেষ হলে তাদের মধ্যে ভারতীয় নাগরিকের সাথে ঘড়ি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা হয়। তখন ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ঘড়ি কেনাবাবদ ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে পরে বাকি টাকা দিয়ে ঘড়ি নিয়ে যাবে বলে চলে যায়। 

সে সময় সাইফুলকে তাদের পার্টনার হওয়ার জন্য এক আসামি প্রলোভন দেখায় আর ২০ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য বলে। সাইফুল সেই টাকা দেয়ার পর দুপুরের খাবার খেতে দিয়ে টাকা নিয়ে সরে পড়ার পরিকল্পনা করতে থাকে প্রতারণা চক্র। সাইফুল তা বুঝতে পেরে মোয়াজ্জেমকে আটকে রাখে। পরে মোয়াজ্জেমকে আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-এর নির্দেশে মামলার তদন্ত করে পিবিআই কর্মকতা রবিউল ইসলাম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানে উত্তরায় এক ভাড়া বাসায় অফিস করছে তারা। তখন অভিযান চালিয়ে রাশেদ ওরফে রাসেল এবং নাঈমকে গ্রেফতার করে। 
এই চক্র বিভিন্ন সময় আলাদা আলাদা সদস্য নিয়ে কাজ করে৷  তবে এই চক্রের মূল হোতা আব্দুল বারি ওরফে আফসার উদ্দিন ওরফে বজলুর রহমান। তিনি ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রতারিত করেছিল। তার ভাই আব্দুল জলিলও এই চক্রের সাথে জড়িত।গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৫), রাশেদ ওরফে রাসেল (৩৭), মো. নাঈম (৪৩)।

মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আসামি মোয়াজ্জেমের নামে বিভিন্ন থানায় আরও ৬টি প্রতারণার মামলা আছে বলে জানায় পিবিআই। 

Link copied!