গোসল হলো সামাজিক রীতি এবং কিছুটা ব্যক্তিগত অভ্যাসও। গরমের সময় অনেকে দুই-তিনবারও গোসল করেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে শীতকালে। এসময় গোসল নিয়ে অনেকেই ভয়ে থাকেন। গোসলের মাধ্যমে ত্বকে জমে থাকা ধুলাবালি ও ময়লা দূর হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিন গোসল করা কি জরুরি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন গোসল করাটা জরুরি কি না, তা আসলে আপনার পরিবেশ ও ত্বকের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি অতিরিক্ত ঘামেন, ময়লা কিংবা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে কাজ করেন, সে ক্ষেত্রে আপনার প্রতিদিন গোসল করাই উচিত। কিন্তু ওপরের কোনোটিই যদি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হয়, তাহলে প্রতিদিন আপনার গোসল না করলেও চলবে। কিন্তু ঠিক কত দিন পরপর গোসল করতে হবে, এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়মের কথা বিশেষজ্ঞরা বলেননি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কিছু মানুষের প্রতিদিন গোসল না করলেও সমস্যা নেই। তাঁরা হলেন—
• শিশু
• যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল
• যাঁরা পানি সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
• যাঁরা ডেস্কে বসে কাজ করেন
এখন একটু জরিপ দেখা যাক। ২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াল পডকাস্টে একটি জরিপ চালানো হয়। তখন পৃথিবীতে চলছে করোনা মহামারি। এই পরিস্থিতিতে শ্রোতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা প্রতিদিন গোসল করেন কি না?
৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ শ্রোতা জানান, কোয়ারেন্টাইনের সময় তাঁরা নিয়মিত গোসল করেননি।
২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকা প্রকাশ করে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন গোসল করেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন গোসল ত্বকের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আমাদের ত্বক থেকে এক ধরনের তেল নিঃসরিত হয়, যা ত্বককে মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখে। এ ছাড়াও, ত্বকের বাইরের স্তরে কয়েক ধরনের স্বাস্থ্যকর জীবাণু বাস করে যারা রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ভূমিকা রাখে। গোসলের সময় ত্বকের নিঃসরিত তেল এবং এসব জীবাণু পরিষ্কার হয়ে যায়, যা ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ত্বক উজ্জ্বলতা হারিয়ে খসখসে হয়ে যেতে পারে। আর এ কারণে চুলকানি অনুভূত হতে পারে।