দীর্ঘ সময় ত্বকের সঠিক পদ্ধতিতে যত্ন না নেয়া হলে মুখ-হাত-পায়ের ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। প্রতিদিন সম্ভব না হলেও সপ্তাহে অন্তত একদিন ত্বকের যত্ন নিন।
ত্বকের প্রতিদিনকার যত্ন হিসেবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
শরীরের যেসব অংশে আমাদের হাত পৌঁছায় না গোসলের সময় সেসব অংশ লম্বা হাতলযুক্ত ব্রাশ দিয়ে নিয়মিত স্ক্রাব করুন।
শরীরের যেসব অংশ উন্মুক্ত থাকে সেসব অংশে তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও শরীরের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন ঘরে তৈরি প্যাক। বেসন, টক দই এবং হলুদের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। তারপর দাগের ওপর লাগাতে পারেন। প্যাক লাগানোর পর আধঘণ্টা অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঘষে ধুয়ে নিন। নিয়মিত করলে দাগ চলে যাবে।
আন্ডারআর্ম, নাভি, কান এবং তার পিছনের অংশ ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। আন্ডারআর্মে থাকা গ্ল্যান্ড ঘাম নিঃসরণের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের উপরে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশে যায়। ফলে, অল্প সময়েই দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। তাছাড়া জামাকাপড়ে ঘামের দাগ হয়ে যায়। ঘাম যেহেতু শরীরের বর্জ্য পদার্থ, তাই গোসলের সময় ভালভাবে আন্ডারআর্ম পরিষ্কার করা জরুরি।
সপ্তাহে দু’বার বডিস্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। এতে দুর্গন্ধ হবে না, ত্বকও ফ্রেশ থাকবে। চালের গুঁড়োর সঙ্গে টক দই এবং অল্প হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে আন্ডারআর্মে লাগান। নাভিতেও এই একই প্যাক লাগাতে পারেন। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন।
কানের লতি, পিছনের অংশ, পেটের অংশে অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন গোসলের আগে। হালকা হাতে মাসাজ করুন। এতে ওই অংশগুলো পরিষ্কার থাকবে।
প্রতিদিন ডিওডোর্যান্ট বা ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করলেও এইসব অংশে ঘাম কম হবে, দুর্গন্ধমুক্ত থাকতে পারবেন।