সেরেলাক নিয়ে ভয়ংকর তথ্য: দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম

সেরেলাক নিয়ে ভয়ংকর তথ্য: দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা

সংগৃহীত ছবি

স্থূলতা ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক যে নির্দেশিকাগুলো রয়েছে তা লঙ্ঘন করে অনেক দরিদ্র দেশে শিশুদের দুধ ও সিরিয়ালে চিনি যুক্ত করে বিক্রি করছে নেসলে।

সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় সেরেলাক নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  

পাবলিক আইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, সুইজারল্যান্ডে নেসলে তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি কোনো চিনি ব্যবহার না করলেও দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশ ও দরিদ্র দেশগুলোতে তারা সেরেলাকে চিনি ব্যবহার করছে। আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, শিশুদের জন্য নেসলের ব্র্যান্ড নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবগুলোতেই বাড়তি চিনি আছে।

নেসলে সুইজারল্যান্ডে বিস্কুট স্বাদের সেরেলাকে কোনো প্রকার চিনির ব্যবহার ছাড়াই বিক্রি করছে। কিন্তু ঠিক একই পণ্যতে চিনি সংযুক্ত করে সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল কিংবা দরিদ্র দেশগুলোতে বিক্রি করছে। সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় এই স্বাদের সেরেলাকের প্রতি প্যাকে ৬ গ্রাম চিনি থাকে।

পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি পণ্য চালু আছে, যার প্রতিটিতেই বাড়তি চিনি আছে। গড়ে এসব পণ্য থেকে একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার খাওয়ানো হয় তাতে বাড়তি চিনির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আফ্রিকায় ২০০০ সাল থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী অতিরিক্ত ওজনের শিশুদের সংখ্যা প্রায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুধুমাত্র প্যাকেজিং-এ মুদ্রিত পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি পণ্যে যোগ করা চিনি রয়েছে কিনা এবং তা কতটা উপস্থিত রয়েছে তা বলা যে কোনও দেশের ভোক্তাদের পক্ষে সবসময় সহজ নয়। লেবেলগুলোতে যেসব ফল বা উপাদানের কথা উল্লেখ করা হয় সেগুলোর শিরোনামের মধ্যে প্রায়ই কৃ্ত্রিম শর্করা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ইউরোপীয় অঞ্চলের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য কোনও খাবারে কৃত্রিমভাবে শর্করা বা মিষ্টিজাতীয় উপাদান যুক্ত করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। যদিও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে কোনও নির্দেশিকা তৈরি করা হয়নি, তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, ইউরোপীয় নির্দেশিকা বিশ্বের অন্যান্য অংশের জন্য সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

Link copied!