এসএসসির ৯ বহিস্কৃত পরীক্ষার্থীকে ১০ লাখ টাকা ক’রে ক্ষতিপূরণ দিতে নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৭:৪০ পিএম

এসএসসির ৯ বহিস্কৃত পরীক্ষার্থীকে ১০ লাখ টাকা ক’রে ক্ষতিপূরণ দিতে নোটিশ

এবারের এএসসি পরীক্ষায় পটুয়াখালীর গলাচিপা খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় জেলা প্রশাসন বরাবরে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৯ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ লাখ টাকা ক’রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

শনিবার সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান ও নাইম সরদার ই-মেইলে ওই নোটিশ পাঠিয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমান ও খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নুসরাত জাহানকে ই-মেইলে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, পরীক্ষা শুরুর মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান যথাযথ কারণ ছাড়াই খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেন।

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এসব রিপোর্টে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলেও তিনি বহিষ্কারাদেশ পরিবর্তন করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

হুমায়ন কবির আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ওই ৯ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং তাদের পরিবারে গভীর হতাশা নেমে এসেছে। তাই নোটিশে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৯ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে (শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে) এসব ব্যবস্থা না নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিন গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগ আনা হয়। অথচ বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন এমসিকিউ উত্তরপত্রের কেবল দুটি এবং অপরজন তিনটি বৃত্ত ভরাট করতে পেরেছিল। বাকি সাতজন শুধু রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ঘর পূরণ করেছিল।

Link copied!