কক্সবাজারে পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৩ যুবক শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২৩, ২০২১, ০৩:৩৪ পিএম

কক্সবাজারে পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৩ যুবক শনাক্ত

ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও এক যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এতে করে এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবককেই শনাক্ত করেছে র‌্যাব। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় ওই হোটেলর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে দুইজনের পর তৃতীয় যুবকেও শনাক্ত করা হয়। তারা হলেন— আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল জয় প্রকাশ জয়া ও মেহেদী হাসান বাবু।

এর আগে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামের হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন। পরে বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এ সময় এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে ভুক্তভোগী নারীর ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে অটোরিকশা করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় ৩ যুবক। পরে পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে তারা।

এর পর ভুক্তভোগীকে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে নিয়ে আরেক দফা ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ধর্ষকরা। পরে ভুক্তভোগী নারী জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ কল করেন। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। পরে র‍্যাব এসে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে।

ওই নারী জানান, স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।”

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, “সংবাদ পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করি। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।”

Link copied!