কারাগারে নিয়োগে অনিয়ম: জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ৯, ২০২২, ০৬:৪৮ পিএম

কারাগারে নিয়োগে অনিয়ম: জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

একজনের নামে আরেকজন কারারক্ষী পদে চাকরি এবং অন্তত ৮৮ জনের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে একমাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে কারা মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে সিলেট কারাগারে অন্যজনের পরিচয়ে ১৮ বছর ধরে কারারক্ষীর চাকরি করা জহিরুলকে সরিয়ে প্রকৃত নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিকে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

রিটে ‘আরেকজনের নাম-পরিচয়ে চাকরি, ১৮ বছর পর তদন্ত’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনসহ গণমাধ্যমে আসা একাধিক খবর যুক্ত করা হয়।

জহিরুল চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর একটি আবেদন দেন। এতে ফল না পেয়ে তিনি রিট করেন।

কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। আর ইতোমধ্যে জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তেও সত্যতা পাওয়া গেছে।

সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে এশু চাকরি ফিরে পেতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবরে আবেদন করেন। কিন্তু সে আবেদনে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার শুনানি শেষে বুধবার আদেশ দেন আদালত ।

Link copied!