চট্টগ্রাম নগরীতে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৬, ২০২২, ০৯:৪২ পিএম

চট্টগ্রাম নগরীতে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীতে গাড়ি না চালানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুরোধে সংগঠনটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।

শনিবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রাবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর শনিবার সকাল থেকে গাড়ি না চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ। 

শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে বেলায়েত হোসেন বলেন, “শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে বাস চালাব না। তবে রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এত দাম দিয়ে জ্বালানি কিনে একই ভাড়ায় আমাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব না।”

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে যা ভাড়া আসবে তার সব টাকা পেট্রোল পাম্পে দিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছিলেন, “ এতে করে শ্রমিকের বেতনও হবে না। একই সঙ্গে গাড়ির কিস্তিও হবে না। এ কারণে চট্টগ্রাম নগরীতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন এক লিটার ডিজেল কিনতে ১১৪ টাকা লাগবে। এক লিটার অকটেনের জন্য গুনতে হবে ১৩৫ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হবে ১৩০ টাকা।

শুক্রবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের নতুন এই দর জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আজ (শুক্রবার) রাত ১২টার পর থেকে নতুন এই দর কার্যকর হবে।এর আগে গত বছরের নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। তাতে দাম হয়েছিল ৮০ টাকা লিটার। তার আগে এই দুই জ্বালানি তেলের দাম ছিল লিটারে ৬৫ টাকা।

দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রিতে ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা হবে।

Link copied!