জুমার নামাজে উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১৬, ২০২১, ০৯:১৫ পিএম

জুমার নামাজে উপচে পড়া ভিড়

পবিত্র রমজানের প্রথম শুক্রবারে ও দেশব্যাপী চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে রাজধানীর মসজিদগুলোতে আজ জুমার নামাজে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। মোহাম্মদপুর, পান্থপথ, কলাবাগান ও ফার্মগেট এলাকার বেশ কয়েকটি মসজিদে  সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলা পরিলক্ষিত হয়নি। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে দূর দুরান্ত থেকে বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় করতে আসেন অনেকেই।

মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজার সংলগ্ন শহীদ পার্ক জামে মসজিদে দেখা গেছে কয়েক হাজার মুসল্লি  সমবেত হয়েছেন। মসজিদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে অনেককে মসজিদের বাইরেও নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। মসজিদের মাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের কথা বলা হলেও সেখান সেই পরিবেশ দেখা যায়নি। মোহাম্মদপুরেরে অন্যান্য মসজিদগুলো-- আল্লাহ করিম জামে মসজিদ, বাইতুস সুজূদ জামে মসজিদ, বাইতুর রহমান জামে মসজিদেও একই চিত্র দেখা গেছে।

পান্থপথের অনেক মসজিদে জায়গা না থাকায় রাস্তায় নামাজ আদায় করেন অনেকে। এদিকে সর্বাত্মক লকডাউন থাকলেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করতে আসেন। আগত মুসল্লীর মতে স্থানীয় মসজিদে কড়াকড়ি আরোপ করার ফলে বায়তুল মোকাররমে আসেন তারা। 

গত বছরের মতো এবারও করোনা মহামারিতে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ের নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন  অংশ নিতে পারবেন। তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন এবং জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে  অংশ নেবেন।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘মসজিদের প্রবেশপথে হ্যান্ডস্যানিটাইজার/ হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে যেতে হবে।’

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মানা হলে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।

Link copied!