দূরপাল্লার বাস না চলায় দুর্দশায় ফিলিং স্টেশন

তৌফিক হাসান

মে ২৩, ২০২১, ১২:৩০ এএম

দূরপাল্লার বাস না চলায় দুর্দশায় ফিলিং স্টেশন
[youtube-video]https://www.youtube.com/watch?v=1HV-QGpbD48[/youtube-video]
 

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেড় মাস ধরে চলা লকডাউনে বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লার বাস। যার ফলে সাময়িক বন্ধ থাকছে তেল ও গ্যাস ফিলিং স্টেশনগুলোও। জ্বালানি তেলের চাহিদা না থাকায় শুধু সিএনজির মাধ্যমেই স্টেশন চালু রাখছে অনেকে। কর্মী ছাটাই না করে ক্ষতিপূরণ দিয়েই বেতন দেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পেট্রোল পাম্পের মালিকরা।

সিএনজি সরবারহই একমাত্র ভরসা  

দূরপাল্লার বাসগুলো মূল জ্বালানি তেল। যার ফলে তেল নির্ভর ফিলিং স্টেশনগুলোই বেশি দেখে যায় ঢাকার পাশ্ববর্তী এলাকায়। তবে রাজধানীতে সিএনজি চালিত গাড়ি থাকায় কিছু কিছু স্টেশনে সিএনজি গ্যাস সরবারহ করা হয়। কিন্তু তেল চালিত যানবাহন কম থাকায় অনেক স্টেশন তাদের তেল সরবারহকারী ডিপোগুলো বন্ধা আছে।  যে ফিলিং স্টেশনগুলো পুরোপুরি বাসের উপর নির্ভরশীল তারা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে আছে। আর যে স্টেশনগুলোর সিএনজি ও গাড়ির গ্যাসের ব্যবস্থা করা আছে সেগুলোরও খারাপ অবস্থা হয়ে আছে।

শুয়ে বসে শঙ্কায় কাটছে কর্মচারীদের

বাস বন্ধ থাকায় তেল নিতে আসছে না কেউ। ফলে শুয়ে বসে সময় কাটাচ্ছে স্টেশনের স্টাফরা। কোন ধরনের ছাটাই না হলেও ঠিকমত বেতন পাচ্ছেনা স্টাফরা। মাসের ২০-২৫ তারিখ পর বেতন পাচ্ছে তারা। এতে পরিবার নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। 

গাবতলীর ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ফিলিং স্টেশনের লজেন ম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, বাস না থাকলে তো আমাদেরও কোন কাজ নেই। আমাদের আসতে হয় তাই আসি। আগে যেমন প্রতিদিন ৩-৪ লাখ টাকার লেনদেন হতো এখন সে যায়গায় লেনদেন হয় ১০-২০ হাজার টাকা। এর ফলে আমাদের বেতন পেতেও দেরি হচ্ছে। সে কারনে পরিববার নিয়ে ঢাকা শহড়ে বসবাস করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।

কমিশন বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান

ফিলিং স্টেশনগুলোর বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ফিলিং স্টেশনের প্রশাসনিক ম্যানেজার শফিকুর রহমান লিংকন জানান, স্টেশনগুলোর অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। আয়-রোজগার নেই বললেই চলে। তারপরও আমরা স্টাফদের নিয়মিত বেতন দিয়ে যাচ্ছি। হয়ত কিছুদিন দেরি হচ্ছে। আশাকরি খুব দ্রুত এর সামাধান হবে।

Fuel 2

স্টাফদের নিয়মিত বেতন দেয়ার কথা জানান ফিলিং স্টেশনের প্রশাসনিক ম্যানেজার শফিকুর রহমান লিংকন।

ফিলিং স্টেশনের শ্রমিকদের জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের একাংশের কোষাধক্ষ মো. মাসুদুজ্জামান শাহজাহান বলেন, শ্রমিকদেরতো আমরা নিজেদের পকেট থেকে বেতন দিয়ে যাচ্ছি। কোন শ্রমিককেই আমরা ছাটাই করি নেই। এর চেয়ে আরকি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। সরকরের কাছে কোন প্রত্যাশা করছে কিনা জিগাসা করলে তিনি বলেন, সরকার আমাদের কমিশনটা যদি বাড়িয়ে দেয় তবে কিছুটা ক্ষতি পূরন করা যেতে পারে।

দেশে সাড়ে চার হাজার ফিলিং স্টেশন

বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সিএনজি পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসেবে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংখ্যা ১০০টি ও পেট্রল ফিলিং স্টেশন ১০৮টি। এ ছাড়া সারা দেশে পেট্রোল স্টেশন প্রায় ৪ হাজার ৬০০টি।

Link copied!