শান্তি ও আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক নৌকা যখনই হেরে যায়, বাংলাদেশ তখন অন্ধকারে তলিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। রবিবার(১০ অক্টোবর) রাতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ কর্মসূচির প্রধান উপদেষ্টা জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, লেখক ও গবেষক ড. রতন সিদ্দিকী।
আলোচনা সভায় নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই আমরা নৌকা হারিয়ে ফেলেছি, তখনই বাংলাদেশ অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। দরিদ্র থেকে আরো দরিদ্র হয়েছি, সার্বিক কোন উন্নয়ন হয়নি। খুনীদের নিরাপত্তা দিয়ে বিকৃত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।’
‘নদী, নৌকা ও বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ক আলোচনায় নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ কিছু না কিছু পায় উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘১৯৫৪ সালে মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছিল, নৌকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। সে কারণে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পর সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালে স্বাধীনতার পথ তৈরি করে দিয়েছিল এই নৌকা প্রতীক।আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন বলেন, নৌকার কারণেই ১৯৯৬ সালে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিকৃত সমাজ ব্যবস্থা থেকে দেশ স্বাভাবিক ধারায় ফিরে এসেছে। পাঁচ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা সুষ্ঠু ধারায় চলে এসেছিল। কৃষকদের ভর্তুকি দেয়া হয়েছিল। যার ফলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জন করি। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ধাপ শুরু হয়।
রবিবার(১০ অক্টোবর) রাতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
২০০১ সালে নৌকাকে হারিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ বিভীষিকাময় পথে যাত্রা শুরু করে মন্তব্য করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের যে বাংলাদেশ, নৌকা প্রতীক কোথায় নিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী আজ (১০ অক্টোবর) রূপপুরে পরমাণু চুল্লি স্থাপনের উদ্বোধন করেছেন। সমগ্র দেশ আজ আবেগতাড়িত। আমরা পারমাণবিক যুগে পা দিলাম। নৌকার জন্যই এ অসাধারণ প্রাপ্তি।
আগে ঋণের জন্য বিদেশের কাছে ধরনা দিতে হতো জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিনিধিরা বিভিন্ন দেশে যেত কিছু চাওয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখন ঋণ দেই। এটা শুধু নৌকার সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততার জন্য
আগামী প্রজন্মের মাঝে মুজিব চর্চা ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন,‘খালেদা জিয়া বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ছিলেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ নিলেন। আজকে পদ্মাসেতু বাস্তব রূপ। এটা সম্ভব হয়েছে নৌকার সঙ্গে জনগণ আছে বলেই। নৌকার জন্যই আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। রিজার্ভ বেড়েছে। এসব কিছুর প্রেরণা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ। নদী নৌকা ও বঙ্গবন্ধুকে ধারন করেছি বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নদীকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শতবর্ষ ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, এ নদীগুলো বাংলাদেশের বিজয়ের ঢাল ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এ নদীগুলো সহায়ক ছিল।