পুলিশ কমিশনারের নামে লাইভে মাহিয়া মাহির অভিযোগ!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৮, ২০২৩, ১২:৫১ এএম

পুলিশ কমিশনারের নামে লাইভে মাহিয়া মাহির অভিযোগ!

ফেসবুক লাইভে এসে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফেসবুকে এসে তিনি জানান, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশের একটি বিতর্কিত জমি এবং গাড়ির শোরুমের জায়গা টাকার বিনিময়ে ওই পুলিশ কমিশনার দখল করেছেন।

বর্তমানে ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই নায়িকা।

গাজীপুর পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে অভিযোগ করে ফেসবুক লাইভে মাহিয়া মাহি বলেন, আমাদের একটি গাড়ির শোরুম আছে— ভাওয়াল কলেজের পাশে সনিরাজ কার প্লেস। এই শোরুম নিয়ে অনেক দিন ধরে অনেকে প্রবলেম করছে। এখানে একটি লোক আছে— ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন। উনি গাজীপুর কমিশনারকে... গাজীপুরের কমিশনার অনেক দিন ধরেই আমার হাজব্যান্ড ও তার ফ্যামিলি, মানে এখানে সুলতান ভাই আছেন, ফয়সাল ভাই আছেন, সবার পেছনে লেগেছেন। সুলতান সরকারের ভাই হিসেবে রকিব সরকারের বিরুদ্ধে লেগেছেন। তো, তিনি দেড় কোটি টাকা ঘুষ খেয়ে আমাদের শোরুম দখল করে দেওয়ার জন্য তার অতিরিক্ত কমিশনার দেলোয়ারের মাধ্যমে টাকা নিয়েছেন, আমাদের শোরুমটি দখল করে দেবেন এই মর্মে। 

এ জন্য পুলিশ কমিশনারের কাছেও গিয়েছেন বলে জানিয়ে মাহি বলেন, তিনি বারবার জমির কাগজপত্র চেয়েছেন। কিন্তু পুলিশ কেন জমির কাগজপত্র নিয়ে ডিল করবে, এটি পুলিশের কাজ না। জায়গা-জমির বিষয়টি হবে আদালতের মাধ্যমে। আদালত রায় দেবেন।

পুলিশ কমিশনারকে মেইন কালপ্রিট বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমরা থানায় জিডি করতে গেলে ওসি প্রথম দিন জিডি নেননি। আমাদের একটি ফেক জিডির কাগজ দিয়েছেন। জিডি না নেওয়ায় পুলিশ কমিশনার অ্যাকটিং (অভিনয়) করে ওসিকে কিছুদিনের জন্য প্রত্যাহার করেন। এখন আবার ক্লোজড উঠিয়ে নিয়েছেন। আমি লাইভ করছি, আগামীকাল আমি দেশে আসব। বাংলাদেশে এসে আমি এটি নিয়ে তুলকালাম করে ফেলব।’

১২ মিনিটের ফেসবুক লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে মাহি বলেন, ‘দখলকারীরা দা-চাপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে আছে। কিন্তু কমিশনারকে বারবার ফোন দিলেও তিনি কেটে দিচ্ছেন। এ সময় তিনি তার অনুসারীদের ঘটনাস্থলে গিয়ে দখলকারী লোকজনের ভিডিও করতে নির্দেশ দেন।’

এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকার যে অভিযোগ মাহিয়া মাহি এনেছেন, তা ডাহা মিথ্যা কথা। তাকে জিজ্ঞেস করেন, পুলিশ কী প্রক্রিয়ায় টাকা নিয়েছে। তার স্বামী ও তাদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। যেহেতু ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশকে জড়িয়ে তিনি এ ধরনের কথা বলেছেন, সে জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

Link copied!