বেটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ৩০, ২০২২, ১০:৪৮ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকার পুমালাঙ্গা প্রদেশের লাইডেনবার্গে শান্তা ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নারী খুন হয়েছেন। আর ওই খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুমন আহমেদের বিরুদ্ধে। দেশে থাকতে দুজনের প্রেম ছিল। সেই প্রেমের টানেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় সুমনের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন এবং বিয়ে করেছিলেন।
শান্তা ইসলাম টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার থলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আর অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী সুমন আহমেদ টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে কেপটাউনে চাকরি করেন। পরবর্তীতে পুমালাঙ্গায় এসে ব্যবসা শুরু করেন।
শান্তার দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী এক আত্মীয় জানান, শান্তা তাঁর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। সুমন তাঁদের দূরসম্পর্কের আত্মীয়। দেশে থাকা অবস্থায় শান্তার সাথে সুমনের দীর্ঘদিনের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে শান্তা নিজ খরচে দেশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা আসেন। এরপর তাঁদের বিয়ে হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান; কিন্তু শান্তা দক্ষিণ আফ্রিকা আসার কিছুদিন পর থেকেই সুমন তাঁকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন।
নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে শান্তা দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত বাবার আত্মীয়স্বজনের কাছে ফিরে যেতে চান। গত রবিবার ২৮ আগস্ট সকালে তাঁর এক আত্মীয় শান্তাকে নিয়ে আসার জন্য লাইডেনবার্গের বাসায় গেলে ভেতর থেকে বাসা তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তালা ভেঙে শান্তার মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনার পর থেকেই স্বামী সুমন পলাতক রয়েছেন। সুমনের সন্ধান পেতে প্রবাসীদের সহযোগিতা চেয়েছেন শান্তার স্বজনরা।
