বেটা
এপ্রিল ২৮, ২০২২, ০৬:০৮ এএম
ভারত সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে বৃহস্পতিবার দুইদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই সূত্র জানায়, ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সূচি চূড়ান্ত করতেই এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশ সফরে আসছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে বৈঠকে সম্ভাব্য সফর সূচি চূড়ান্ত হতে পারে।
এস জয়শঙ্কর এ সময় ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পত্রও হস্তান্তর করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্রটি আরও জানায়, স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ২০২১ সালে ভারতের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী দুজনই বাংলাদেশ সফর করেছেন। সঙ্গত কারণেই এবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতার ভারত সফরের কথা রয়েছে। আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছে।
অপর একটি সূত্রমতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্রে জুনের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ ভারতের সহায়তা চেয়েছে। এ ব্যাপারে ভারত যথাসাধ্য সহায়তা করবে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা আশা করি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটা সুখবর নিয়ে আসবেন।”
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনাও প্রাধান্য পাবে ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে। এমনই একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এক সহকারি সচিব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ওই সহকারি সচিব দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বুধবার বলেন, “এস জয়শঙ্কর আসছেন কাল (বৃহস্পতিবার)। বাংলাদেশের জন্য তাঁর সফর নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক বহন করে। বিশেষ করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠানোর ব্যাপারে ভারত যে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ওই দিকগুলো নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এস জয়শঙ্করের আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়টিতো আছেই।”
দুই মন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এবারের আলোচনাটি আনুষ্ঠানিক হবে না। ড্রইংরুম অ্যারেঞ্জমেন্টে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পানি, বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, কুয়াশার পানি উত্তোলন ও রহিমপুর খাল নিয়ে চলমান ইস্যুও দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় স্থান পাবে। তবে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয় নিয়ে এই দফা কোনো আলোচনা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
তবে, বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানির ওপর ভারতের আরোপ করা অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ তুলে নিতে দিল্লিকে অনুরোধ জানাবে ঢাকা।
এর পাশপাশি ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড রোড কানেক্টিভিটি’ প্রকল্পে বাংলাদেশের যুত্ত হওয়ার বিষয়টিও এস জয়শঙ্কর-মোমেনের আলোচনায় স্থান পাচ্ছে।
