রাসিক নির্বাচন

যান চলাচলে পুলিশের বিশেষ নিষেধাজ্ঞা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২০, ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম

যান চলাচলে পুলিশের বিশেষ নিষেধাজ্ঞা

সংগৃহীত ছবি

রাত পোহালেই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এ উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়ে চলবে কাল মধ্যরাত পর্যন্ত। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মহানগরী এলাকায় মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, ইজিবাইক, লঞ্চ, ট্রলার, স্পিডবোট, টেম্পো, বেবিট্যাক্সি/অটোরিকশা এবং অন্য সব যন্ত্রচালিত যানবাহন, যেমন নছিমন, করিমন, ভটভটি, টমটম ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এ ছাড়া সোমবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরনের মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে। 

তবে এ নিষেধাজ্ঞা সবার ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। 

এতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তা ছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজে, যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এ ছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে নৌযান ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। এর মধ্যে ১৪৮টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৭টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু তাঁরা সব কেন্দ্রকেই গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্র এলাকায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র‍্যাব ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনপূর্ববর্তী এবং নির্বাচনপরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

Link copied!