মিছিল ও পদযাত্রাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৪, ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম

মিছিল ও পদযাত্রাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা

বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে দেশব্যাপী মহানগরের থানায় থানায় পদযাত্রা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। অন্যদিকে,বিরোধী দলগুলোর ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং ছয়টি স্থানে ‘শান্তি সমাবেশ’ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রায় কাছাকাছি সময়ে দুই দলের মিছিল ও পদযাত্রাকে ঘিরে দুই পক্ষের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপিঘোষিত এ কর্মসূচিতে রাজধানীতে বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র নায়সহ সহ দলের সিনিয়র নেতারাও অংশ নেবেন।

যুগপৎ আন্দোলনের এ কর্মসূচিতে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রধান করে গঠন করা হয়েছে সমন্বয় টিম। সমমনা দল ও জোটের শরিকরাও পদযাত্রায় যোগ দেবে বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকাল ৩টার দিকে একযোগে মহানগরের ৯৯ থানা এবং ৮ স্থানে পদযাত্রা বের করবে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তরে ২৬ থানায়, দক্ষিণে ২৪ থানায় পৃথক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। উত্তরা–পূর্ব থানার কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যান্য থানার পদযাত্রা কর্মসূচিতেও বিএনপির সিনিয়র নেতারা অংশ নেবেন।

নারায়ণগঞ্জে ৩, গাজীপুরে ৮, চট্টগ্রামে ১৫, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ৫, বরিশালে ৩, রংপুরে ৬ ও সিলেট মহানগরের ৫ থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৩৩ ওয়ার্ডে মিলে ৫ স্থানে, ফরিদপুরে ২৭ ওয়ার্ড মিলে এক স্থানে ও কুমিল্লা মহানগরের ২৭ ওয়ার্ড মিলে দুই স্থানে পদযাত্রা বের করছে বিএনপি।

এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশব্যাপী সব মহানগরের অন্তর্গত থানায় পদযাত্রা সফল করতে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, বিএনপির এই কর্মসূচি চলাকালে শনিবার শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ।মূলত ১০ ডিসেম্বর থেকে বিএনপির প্রায় প্রতিটি কর্মসূচির দিন যদিও দলটির নেতারা এটাকে পাল্টা কর্মসূচি বলতে চান না।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে শনিবার ১০টি জায়গায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর উত্তরে হবে চারটি সনমাবেশ। আর দক্ষিণে ছয়টি স্থানে নির্বাচনী আসন ধরে সমাবেশ হবে। সব থানা থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এই ছয় সমাবেশে যোগ দেবেন।

মহানগর উত্তরে চারটি সমাবেশ হবে মিরপুর ১ নম্বর গোলচত্বর, মোহাম্মদপুর টাউন হল, মধ্য বাড্ডা ও উত্তরার আমির কমপ্লেক্সের সামনে। এসব সমাবশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণে আওয়ামী লীগের সমাবেশগুলো হবে- বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, শ্যামপুর রেলগেট, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, ঢাকেশ্বরী বালুর মাঠ, মুগদা স্টেডিয়াম ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। ধানমন্ডির সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথি থাকবেন। বাকি সমাবেশগুলোতেও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

বেলা তিনটায় এসব সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আবার বিএনপির পদযাত্রা হবে বেলা দুইটায়। প্রায় কাছাকাছি সময়ে দুই দলের মিছিল ও পদযাত্রাকে ঘিরে দুই পক্ষের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান জানান, তাদের কর্মসূচির নাম শান্তি সমাবেশ। তাদের দিক থেকে কোনো অশান্তি সৃষ্টি হবে না। তবে বিএনপি আঘাত করলে আত্মরক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।

মহানগর উত্তরে চারটি সমাবেশ হবে মিরপুর ১ নম্বর গোলচত্বর, মোহাম্মদপুর টাউন হল, মধ্য বাড্ডা ও উত্তরার আমির কমপ্লেক্সের সামনে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এ সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।

Link copied!