রাষ্ট্রপতি পদে শেষ মুহূর্তের আলোচনায় তিন নাম

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০২:৩৪ এএম

রাষ্ট্রপতি পদে শেষ মুহূর্তের আলোচনায় তিন নাম

রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩ এপ্রিল৷ তিনি পর পর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন৷ সংবিধান অনুযায়ী তাঁর আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই৷

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নির্বাচনী কর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

এই প্রেক্ষাপটে সরকার, বিরোধী দল ও প্রশাসনসহ সারাদেশের বিভিন্ন মহলে কথা হচ্ছে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নিয়ে। ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নেতার নাম এসেছে সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে।

তবে শেষ মুহূর্তের আলোচনায় এসেছে তিনটি নাম। তারা হলেন- মসিউর রহমান, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এই তিনজনের একজনকেই বঙ্গভবনের বাসিন্দা হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর মসিউর রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা নিযুক্ত করা হয়। এর পর থেকেই তিনি এ দায়িত্বে আছেন। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য। বয়স, দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি থাকা এবং অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাঁর সম্ভাবনাই বেশি দেখছেন দলের নেতারা।

সুপ্রিম কোর্টে ১৫ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করেছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ৪৬ বছর বয়সে তিনি সাবেক স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন।

পুরোদস্তুর রাজনীতিক হিসেবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে রাষ্ট্রপতি পদে ‘শক্তিশালী’ প্রার্থী বিবেচনা করছেন দলের কেউ কেউ। ১৯৭০ সালে প্রথম সংসদ সদস্য হন তিনি। এ পর্যন্ত ছয়বার আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি

সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন সংসদ সদস্যদের ভোটে৷ নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে৷ তারাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে৷ রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে৷ তবে, যে সংসদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছে, ওই সংসদের মেয়াদে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না৷ আর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ রাষ্ট্রপতির মৃত্যু, পদত্যাগ বা অপসারণের ফলে পদ শূন্য হলে শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে৷

রাষ্ট্রপদি পদে প্রার্থী হতে হলে সংসদ সদস্য হতে হয়না৷ তবে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে একজন প্রস্তাবক ও একজন সমর্থক লাগে৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন৷

সংবিধানের ৪৮(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি-

 (ক) পঁয়ত্রিশ বছরের কম বয়স্ক হন; অথবা

 (খ) সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হবার যোগ্য না হন; অথবা

 (গ) কখনো সংবিধানের অধীন অভিশংসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির পদ হতে অপসারিত হয়ে থাকেন৷

Link copied!