বেটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ১২, ২০২২, ০১:৪৮ এএম
দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরোধী দলে যারা আছে তারা ভাসমান অবস্থায় এসেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বগত তিন বছরের কাজের ওপর একটি উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
সরকারপ্রধান বলেন, “শক্তিশালী বিরোধী দল আমরা পাচ্ছি না। অপজিশন বলতে দুটো পার্টি আছে। দুটোই মিলিটারি ডিকটেটরদের হাতে গড়া। জনগণের কাছে তাদের অবস্থান নেই।অপজিশন বলতে যারা আছে তারাতো একটা ভাসমান অবস্থায় এসেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অপজিশন বলতে যারা আছে, তার মধ্যে দুটো পার্টিই এখন যারা (বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি), দুটোই হচ্ছে মিলিটারি ডিকটেটর- একেবারে সংবিধান লঙ্ঘন করে, আর্মি রুলস ভঙ্গ করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল তাদের হাতে গড়া।’
বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান আরও বলেন, “মাটি ও মানুষের সাথে যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কটা তাদের মাঝে নেই। তাদের কাছে ক্ষমতাটা ছিল একটা ভোগের জায়গা। সেই ক্ষেত্রে আসলে অপজিশন তাহলে কোথায়? এখানে একটা পলিটিক্যাল সমস্যা কিন্তু আছে।”
শক্তিশালী বিরোধী দলের অবস্থানটা মানুষের কাছে নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তারা তো এসেছেই একটা ভাসমান অবস্থায়। কাজেই তাদের ঐ শিকড় তারা গাড়তে পারেনি। সেই ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড থেকে যখন শোনায় যে এখানে ডেমোক্রেসি, পার্টিসিপেটরি ডেমোক্রেসি, ইলেকশন, হেনতেন; কিন্তু আসলে এখানে করবেটা কি। সেটাও তারা চিন্তা করে না।”
বিএনপি-জামায়াত সরকারের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘পেছনে থেকে তাদেরকে উৎসাহ দিয়ে একবার ক্ষমতায় আনতে পারে, যেটা ২০০১ সালে এনেছিল। কিন্তু তার পরিণতি কি ছিল? বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, বাংলা ভাই সৃষ্টি, জঙ্গীবাদ সৃষ্টি, ৫০০ জায়গায় একদিনে বোমা হামলা, আমি অপজিশনে আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা, অপজিশনের অনেক নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা।”
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালণায় বিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন।
