সীমান্তে মর্টারশেল হামলার দায় আরাকান আর্মি-আরসার ওপর চাপালো মিয়ানমার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ০৯:২৬ পিএম

সীমান্তে মর্টারশেল হামলার দায় আরাকান আর্মি-আরসার ওপর চাপালো মিয়ানমার

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে সীমান্তে মর্টার শেল হামলার দায় আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ওপর চাপিয়েছে মিয়ানমার সরকার।

একইসঙ্গে বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি ও আরসার ঘাঁটি রয়েছে বলে অভিযোগ করে সেগুলোর তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সোমবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে এই ব্যাখ্যা দেয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক উ জো ফিয়ো উইন।

পরে বৈঠকের বিষয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে বলা হয়, বৈঠকে উ জো ফিয়ো উইন ব্যাখ্যা করে বলেছেন, আরাকান আর্মি ও আরসা বাহিনী গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সীমান্তরক্ষী পুলিশকে লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে। ওই তিনটি মর্টারের গোলা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পড়ে। আরাকান আর্মি ও আরসা ১৭ সেপ্টেম্বরও স্থানীয় সীমান্তরক্ষী পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালায়। সে সময়ও নয়টি মর্টার শেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পড়ে।

বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য আরাকান আর্মি ও আরসা বাহিনী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ হামলা করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সীমান্তে শান্ত পরিস্থিতি বজায় রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের একস‌ঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের দিক থেকে সম্পূর্ণ ও একই ধরনের সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও আরসা সন্ত্রাসীদের পরিখা ও ঘাঁটি থাকার তথ্য ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে কূটনৈতিক মাধ্যমে বাংলাদেশকে জানানোর কথা স্মরণ করেছেন মহাপরিচালক। এক্ষেত্রে সরেজমিন তদন্ত এবং সেসব স্থাপনা ও ঘাঁটি ধ্বংসে প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারের আহ্বান তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বিভিন্ন ঘটনাবলির বাস্তব তথ্য দিয়ে একটি আন-অফিসিয়াল পেপার রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

Link copied!