প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যকে কটাক্ষ করে “অতি ডান-বাম নয়, দেশের মানুষ সরকারকে উৎখাত করতে চায়” উল্লেখ করে গতকাল বুধবার (২ মে) নয়াপল্টনে মন্তব্য করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২ মে) এ বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল তারা। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ-পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।”
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারে নির্বাচনগুলো বিএনপি বর্জন করেছে। দলটির কোনো নেতা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিলে তাকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সব অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে ও জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি।”
তিনি আরও বলেন, “গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে ও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলো। আবার ১ লাখ ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল নিয়েছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র-ভোটাধিকারের কথা মানায় না।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবীদে র অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি। বরং বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষক হত্যা ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে বন্দুকের জোরে মানুষকে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল।”