হেফাজত নেতার পদত্যাগ, তাণ্ডবকারীদের বিচারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২৩, ২০২১, ০৯:০৭ পিএম

হেফাজত নেতার পদত্যাগ, তাণ্ডবকারীদের বিচারের দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির নেতা মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী। তিনি হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে হেফাজতের তাণ্ডব ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠান আব্দুর রহিম কাসেমী।

মুফতি কাসেমী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক।

তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকি এবং আমার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সব মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রদের দেশ ও ইসলামবিরোধী কাজে যোগদান না করতে বাধ্য করি।’

হেফাজতের এ নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন স্থাপনায় হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাতে আমি এবং আমার মাদ্রাসার কোনো ছাত্র অংশগ্রহণ করেনি। আমি হেফাজতের চলমান কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত নই। তাদের নাশকতামূলক কার্যক্রম অবৈধ মনে করি।’

আব্দুর রহিম কাসেমী বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সকল কার্যক্রম ও জাতীয় এবং জেলা কমিটির পদসমূহ থেকে পদত্যাগ করছি। যাদের প্ররোচণায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা।

এ সব ঘটনায় ৫৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলাগুলোতে এজহারনামী আসামি ৪১৪ জন ও অজ্ঞাতনামা ৩৫ হাজারেরও বেশি। এ সব মামলা শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৩৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়ছে পুলিশ। সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Link copied!