‘বিএনপি-জামায়াত কমিউনাল গডফাদার’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

অক্টোবর ১৬, ২০২১, ০৪:১৮ এএম

‘বিএনপি-জামায়াত কমিউনাল গডফাদার’

বিএনপি-জামায়াতকে কমিউনাল গডফাদার’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, তারা স্বাধীনতার ৫০ বছরে কখনও সরকারে থেকে রাষ্ট্রীয় ‘মেশিনারিজ’ ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চালিয়েছে, কখনও রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সম্প্রীতির উৎসবকে আক্রমণ করে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে চেয়েছে।

শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজামণ্ডপে হামলা ও প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে আজ বিকালে রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াতকে ‘কমিউনাল গডফাদার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “তারা যখন আন্দোলনের কথা বলেন তখন আমরা বাঙালীর উৎসব স্বাধীনভাবে পালন করা নিয়ে শঙ্কা বোধ করি। নয়া পল্টন থেকে তারা আমাদের মোকাবিলা করার কথা বলে আর এই মোকাবিলার কৌশল হিসেবে তারা মন্দিরে হামলা করে।”

সাদ্দাম বলেন, “এদেশে রহিমের যেমন অধিকার রয়েছে তেমনি অধিকার রয়েছে রামের। এখানে ইদে উৎসব যেভাবে নির্বিঘ্নে পালন করা হয় তেমনি পালন করার অধিকার রয়েছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের।”

তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রদায়িক সহিংসতা যারা তৈরী করতে চায়, ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা যারা বাস্তবায়ন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদই এখন যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি তানভীর হোসেন শান্ত বলেন, “এসময়ের মৌলবাদী শক্তিই ১৯৭১ সালে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরী করে পাকিস্তান রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিলো। এদের বিরুদ্ধে যদি এখনই আমরা রুখে না দাঁড়াই তাহলে সোনার বাংলা বিনির্মানের স্বপ্ন কখনও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।” 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমরা আগে মানুষ হবো, বাঙালি হবো। আমরা দেখতে পাই রমজানে আমাদের বিধর্মী সহকর্মী, সহপাঠী কিংবা পাড়া-প্রতিবেশীরা রোজাকে সম্মান দেখিয়ে মুসলমানদের সামনে পানাহার থেকে বিরত থাকেন।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

Link copied!