দেশের মানুষ যেখানে একবেলা পেটপুরে খেতে পায় না সেখানে তুমি চকচকে, দামি শাড়ী-গয়না পরতে চাও? মানুষকে দেখাতে চাও তুমি কতোটা বড়লোক? তুমি সেরকম কিছু না পরে বরং এমন সাধারণ কিছু পরো যেন তুমি নিজেকে এদেশের গরীব-দুঃখী মানুষের সঙ্গে একাত্ম করে দেখতে পারো।– কথাগুলো শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আমার পিতা যাকে দেশের মানুষ ভালোবেসে ‘বঙ্গবন্ধু’ বা বাংলাদেশের বন্ধু বলে ডাকে, তার বলা একথাগুলো আমি কখনোই ভুলতে পারব না। দেশের মানুষ ১৯৬০-এর দশকে তাকে ভালোবেসে এই উপাধি দিয়েছিল। দরিদ্র, বঞ্চিত এবং অনগ্রসর মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্মাণের স্বপ্ন আমি আমার পিতার কাছ থেকেই শিখেছি। তিনি বাংলাদেশকে সেই ‘সোনার বাংলা’ বানানোর স্বপ্ন দেখতেন যেমনটা বলা হতো প্রাচীন আমলে। একটি সমৃদ্ধ, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাসী দেশ গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। এটিই তার জীবনের একমাত্র রাজনৈতিক দর্শন ও চেতনায় পরিণত হয়েছিল। আমি সবসময়ই আমার পিতার রেখে রেখে যাওয়া উপদেশ ও উদাহরণ অনুসরণের চেষ্টা করেছি।
বিগত দুই শতকে আমাদের দেশ বিদেশি উপনিবেশে পরিণত হয়েছে। শিকার হয়েছে নির্মম নির্যাতন এবং লুণ্ঠনের। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকরা ভারতীয় উপমহাদেশকে ভাগ করে স্বাধীন পাকিস্তানের সৃষ্টি করলেও এই শোষণ অব্যাহত ছিল। আমাদের দেশের মানুষ নিজ দেশকে যুগ যুগ ধরে ‘বাংলাদেশ’ নামে ডেকেছে। তবে, ১৯০৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তা ‘পূর্ববঙ্গ’ নামে পরিচিত হয় এবং ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর ‘পূর্ববঙ্গের’ পরিবর্তিত নাম হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান’। কিন্তু এটি দেশের মানুষের মনে কোন আনন্দ বয়ে আনেনি। কেননা পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে দূরত্ব ছিল হাজার মাইলেরও বেশি। ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন পাকিস্তানের দুই ভুখণ্ডের মধ্যে জাতিগত, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কোন ঐক্য তো ছিলই না বরং তারা ছিল পরস্পর থেকে অনেক আলাদা। এমতাবস্থায়, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের নিজেদের দেখভাল এবং উন্নতির জন্য স্বায়ত্বশাসনের দাবীর বিপরীতে পাকিস্তানী শাসকরা বাঙালিদের ওপর কর্তৃত্বপরায়ণ এবং দমনমূলক শাসন চালিয়েছে। এসবের পাশাপশি, তারা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী বাংলাভাষী জনগণের ওপর রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। অথচ, পাকিস্তানের মোট জনগণের ছোট্ট একটি অংশের ভাষা ছিল উর্দু। পাকিস্তানী শাসকদের এমন শোষণের কারণে বাংলাদেশিরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি আদায়ে জন্ম দেয় গণআন্দোলনের।
বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম:
ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন ছাত্র তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। সেসময় অর্থ্যাৎ ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ পাকিস্তানী শাসকরা তাকে এবং তার সহযোগীদের জেলে বন্দী করলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। কেবল ভাষা আন্দোলনের সময় নয় এরপরেও স্বায়ত্বশাসনের দাবী তীব্রতর হতে থাকলে তাকে আরও একাধিকবার কারান্তরীণ হতে হয়েছে। ওই বছরগুলোতে; বিশেষ করে পাকিস্তানের কেন্দ্রে সামরিক শাসন চালু হওয়ার পর পূর্ব পাকিস্তানীদের ওপর শোষণ, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বঞ্চনা এবং বৈষম্য ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতি আমার পিতাকে পাকিস্তানী একনায়কতন্ত্র, বঞ্চনা এবং বৈষম্য বিলোপ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করেছিল।
শেখ মুজিবের একাধিক অসাধারণ গুণাবলীর মধ্যে তিনটি বিশেষ গুণ বিশেষভাবে উল্লেখ্য। প্রথমটি হলো, তিনি স্বাভাবিকভাবেই মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে ছিল তার গভীর সংযোগ। এক্ষেত্রে তার পারিবারিক অবস্থান তাকে সহায়তা করেছিল। তিনি এমন একটি পরিবার থেকে এসেছিলেন, যা ধনাঢ্য নয় বরং কৃষিকাজে জড়িত আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিল। দ্বিতীয় গুণটি ছিল, তিনি সর্বদা নির্যাতন, শোষণ, অন্যায়ের প্রতিবাদে ছিলেন অকুতোভয়। তার তৃতীয় বিশেষ গুণটি হল, তিনি জনগণের প্রয়োজনের ভাষা বুঝে তাদের হয়ে দৃঢ়ভাবে সে দাবী উচ্চারণ করতেন এবং তাদের উৎসাহিত করতেন। এসব সৎ গুণাবলীই জনগণকে তার প্রতি আকৃষ্ট করতো, তাদের সাহস যোগাতো। এসব গুণাবলীর কারণেই জনগণ তার থেকে নেতৃত্ব এবং দিকনির্দেশনা প্রত্যাশা করতো।
দীর্ঘ কঠোর সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে শেখ মুজিব গণমানুষের জন্য গড়েছেন রাজনৈতিক দল, কারান্তরীণ হয়েছেন একাধিকবার, জাতিকে করেছিলেন ঐক্যবদ্ধ। তবে, কখনোই স্বায়ত্বশাসন ও ন্যায় বিচারের দাবীর আন্দোলন থেকে পিছপা হননি। এভাবেই তিনি জয় করেছিলেন সমগ্র জাতির হৃদয়। কিন্তু, ’৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে বিশাল জয়ের পর পাকিস্তানের স্বৈরশাসক তাকে পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেও তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে চক্রান্ত করতে থাকে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, প্রায় ২৫ বছরে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন ক্রমশ ন্যায়বিচার এবং সাম্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। তারপর স্বায়ত্বশাসন এবং সর্বশেষ তা স্বাধীনতা অর্জনের আন্দোলনে পরিণত হয়।
অবশেষে, হাজির হয়েছিল সকল শোষণ-বঞ্চনার জবাব দেবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে। সেদিনের ঐতিহাসিক জনসভায় শেখ মুজিব ঘোষণা করেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” এর প্রায় ৩ সপ্তাহ পর ২৫ মার্চের রাতে নিরস্ত্র জনগণের ওপর শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞ। সেদিন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু থেকে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, পুলিশ কেউই বাদ যায়নি। এই বর্বোরোচিত আক্রমণের ফলে দেশের জনগণের স্বাধীনতার আকঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
১৯৭১ এর ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চের প্রবল উৎকণ্ঠাময় সময়ে পাকিস্তানী বাহিনী এদেশে তাদের ব্যারাকগুলো পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আনা সৈনিক এবং অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভরে ফেলতে থাকে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে তুলে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট আগেও ঘটনার আকস্মিকতার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি বিকল্প ভেবে রেখেছিলেন। সেসময় তিনি বাংলাদেশিদের নিয়ে গঠিত পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআরের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ইপিআরের অনেক সদস্যই দেশের স্বাধীনতা লাভের জন্য উদগ্রীব ছিলেন। তাদেরই চারজন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার বার্তাকে ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সারাদেশে পৌঁছে দেন। পরে জানা গেছে যে, ওই ৪ জন পরবর্তীতে পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে এবং তাদের হত্যা করা হয়। এই চার শহীদের আত্মত্যাগের কারণেই নেতার বাণী রেডিও এবং অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। এবং এর ফলেই দেশজুড়ে কার্যকর ঐক্য এবং প্রতিরোধ গড়ে ওঠেছিল। শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণা দেশের মানুষের মনে গভীরভাবে প্রোথিত হয়ে গিয়েছিল। তারা দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর ঘৃণ্য গণহত্যার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছিল। অবশেষে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বিজয় অর্জিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। সেদিন একটি স্বাধীন ও সার্বভৈৗম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। এভাবেই আমার পিতার দীর্ঘ ২৫ বছরের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছিল। বিশ্ব অভিধানে বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল স্বাধীন দেশ হিসেবে।
শেখ মুজিব তার সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে লক্ষ্য অর্জনে অহিংস পদ্ধতি অবলম্বন করলেও ২৫ মার্চের সেই ভয়াল দুর্যোগপূর্ণ রাতে পাকিস্তানী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করে। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর গোপন আদালতের বিচারে আমার পিতাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এমনকি বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করারও পরও তাকে হত্যার সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
আমাদের পিতা বারবার কারাবন্দী হওয়ার আমরা ভাইবোনরা পিতার অনুপস্থিতি অনুভব করতাম। কিন্তু তার স্নেহের কখনো আমাদের অভাব হয়নি। আমার মা সর্বান্তকরণে আমাদের পিতার রাজনৈতিক জীবনকে সমর্থন জুগিয়েছেন। মা সবসময়ই আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি তার সন্তানদের যথাযথ শিক্ষা নিশ্চিত করেছিলেন। তারপরও আমরা পিতার অভাব খুব বেশি অনুভব করতাম। তার অনুপস্থিতি তার আদর্শের প্রতি আমাদের আনুগত্যকে আরও গভীর করেছিল। আমরা সবসময় পিতার কারবরণ এবং তার কারণ সম্পর্কে সচেতন ছিলাম যে। তার আত্মত্যাগ আমাদেরও আত্মত্যাগ করতে শিখিয়েছে। আমাদের পিতা-মাতা আমাদের দেশপ্রেমের মূল্য বুঝিয়েছিলেন। দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা, দেশের স্বাধীনতার প্রতি অবিচল অঙ্গীকার আমরা তার কাছ থেকেই শিখেছি। তারা আমাদের শিখিয়েছেন কখনো পথ না হারাতে, উত্তম এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা ত্যাগ না করতে।
বাংলাদেশের বিজয়ের পর পাকিস্তানী বাহিনী আমার পিতাকে মুক্তি দিলে তিনি তৎক্ষণাৎ ঢাকায় ফিরে আসেন। প্রত্যাবর্তনের সময় তার প্রিয় দেশবাসী তাকে বীরের মর্যাদায় বরণ করে নেয়। সেসময়, তিনি নতুন সরকার প্রধান হিসেবে শুণ্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার অত্যন্ত কঠিন কাজ শুরু করেন। পাকিস্তানী বাহিনীর অত্যাচারে ভারতে আশ্রয় নেওয়া ১ কোটি উদ্বাস্তু বাংলাদেশ দেশে ফিরতে আরম্ভ করায় তাদের পুনর্বাসন করতে হচ্ছিল। দেশের রেল, সড়ক, সেতুসহ সার্বিক যোগাযোগব্যবস্থা নতুন করে গড়তে হচ্ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে রয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র জমা নেওয়ার কার্যক্রম চালাতে হচ্ছিল। আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করার মতো দুঃসাধ্য কাজও সম্পাদন করা প্রয়োজন ছিল। যুদ্ধে বিধ্বস্ত খাদ্য উৎপাদন ও কৃষি ব্যবস্থা পুনরায় চালু এবং গুরুত্বপূর্ণ কৃষিজ পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার দরকার ছিল।
একটি বিশৃঙ্খল এবং সংশয়পূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দেশের পুনর্গঠন, পুনর্বাসন এবং পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে নিতে নব্যগঠিত পরিকল্পনা কমিশন দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তনে জন্য একটি সার্বিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করছিল। সেসময়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান তৈরি করা। যেখানে সকল মুক্তিযোদ্ধা, সর্বোপরি দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা যেখানে প্রতিফলিত হবে এমন একটি সংবিধান তৈরি করা। অধিকন্তু, প্রতিবেশী দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে সহায়তা নিশ্চিতে শেখ মুজিব সারাবিশ্ব থেকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি আদায়ে তৎপর ছিলেন। তিনি এসব কাজ করেছিলেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে। এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বে পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন এক ক্যারিশমাটিক নেতা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছিলেন। সেসময় বিশ্বের অনেক নেতাই ঢাকায় এসেছিলেন তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে। তিনিও আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর শেখ মুজিব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ঐকতিহাসিক বাংলা ভাষণের মাধ্যমে জাতি হিসেবে বাংলাদেশিদের গৌরবান্বিত করেছিলেন…।
চলবে...