বাংলার প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৬, ২০২১, ০২:৪৬ পিএম

বাংলার প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর

বাংলাদেশের প্লেব্যাক সংগীতের কিংবদন্তি হিসেবে পরিচিত এন্ড্রু কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (০৬ জুলাই)। দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে হেরে জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী গত বছরের এই দিনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

এন্ড্রু কিশোরের পুরো নাম এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ। ১৯৫৫ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাজশাহীতে  জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ছিলেন সংগীত অনুরাগী, তার প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর কুমার।  প্রিয় শিল্পীর নামানুসারে তার সন্তানের নাম রাখেন ‘কিশোর’।

এন্ড্রু কিশোর আব্দুল আজিজ বাচ্চুর অধীনে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীত পাঠ গ্রহণ শুরু করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন কিশোর। এন্ড্রু কিশোর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।  

১৯৭৭ সালে আলম খানের  সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের  ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই’ গানের মধ্য দিয়েএন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ।

১৯৭৯ সালে এ জে মিন্টু পরিচালিত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতীজ্ঞা চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গানে প্রথম দর্শক তার গান শুনে এবং গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি অন্যান্য প্লেব্যাক গান রেকর্ড করেন যেমন ‘ ডাক দিয়োছেন দয়াল আমারে’,  'ভালবেসে গেলাম শুধু' এর মত জনপ্রিয় সব গান।

কিশোর চলচ্চিত্রের গানে প্রথম সম্মাননা লাভ করেন বড় ভাল লোক ছিল (১৯৮২)চলচ্চিত্রের জন্য। মহিউদ্দিন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে সৈয়দ শামসুল হকের গীত ও আলম খানের সুরে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’ গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এই গানের জন্য তিনি প্রথমবারের মত শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার লাভ করেন। 

১৯৮৪ সালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের গীত ও সুরে নয়নের আলো ছবির তিনটি গানে কণ্ঠ দেন। গানগুলো হল ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’ ও ‘আমার বুকের মধ্য খানে’।

প্লেব্যাক সংগীতের কিংবদন্তি হিসেবে অজস্র সম্মাননা আর পুরস্কার বিজয়ী এন্ড্রু কিশোরকে হার মানতে হয় ক্যান্সারের কাছে। দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকা এন্ড্রু কিশোর শেষ জীবনে ফিরে যান জন্মস্থান রাজশাহীতে। ওখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Link copied!