ফেসবুক খুললেই ইদানিং দেখা মিলছে এক রাগী এবং আবেগী ভাল্লুকের মিম। ক্যারিয়ার সমস্যা থেকে শুরু করে পড়াশুনার যত অভিযোগ রয়েছে সব কিছু যেন এই ভাল্লুকের মাধ্যমে প্রকাশ করছে ইউজাররা।
চেখের কোনায় ব্যান্ডেজ,ক্ষত বিক্ষত মুখ নিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে মান্দারিন ভাষায় অভিযোগ করছে। তবে এই অ্যানিমেশন দেখে হয়ত অনেকেই ভাবছেন কোন সিরিজ বা সিনেমার ক্লিপ। আদৌ এটি কোন সিনেমা বা সিরিজের অংশ নয়। বরং বিলিবিলিতে আপলোড হওয়া একটি ক্লিপ মাত্র। আর এই ক্লিপটি অনুপ্রাণিত হয়েছে বিখ্যাত সিনেমা ‘ এ বেটার টুমোরে’ থেকে।
মিশন ইম্পসিবলখ্যাত বিখ্যাত পরিচালক জন উহো নির্মিত ১৯৮৬ সালে মুক্তিপাওয়া “এ বেটার টুমোরো’র” একটি ক্যারেক্টার “চোউ ঊয়ূণ ফাট” এর এনিমেটেড ক্যারেক্টার ই হলো এই ভাইরাল ভাল্লুক। প্রায়ই বিভিন্ন মিমে ব্যবহার হচ্ছে এই ভাইরাল এনিমেটেড ভাল্লুক।
কিন্তু মিমের ক্ষেত্রে এখন ভাল্লুকের ব্যবহার হলেও মূল সিনেমার সেই মুহুর্তের দৃশ্য ছিলো যথেষ্ট ইমোশোনাল, প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক সিনেমার চরিত্র কি এমন ডায়লগ বলেছিল যা এখন বিশ্বজুড়ে এতো মানুষ রিলেট করতে পারছে!
মিমে ব্যবহার করার ডায়লগের ঠিক আগের ডায়লগটি ছিলো, “আমি কখনো কোন বন্ধুকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে যেতে জোর করিনি” এবং তারপর যে অংশ থেকে মিম বানানো হয় সেটা ছিলো এমন -
“ আমার নিজের একটা নীতিগত আদর্শ রয়েছে, আমি আর এইভাবে বাঁচতে পারছি না, তুমি কি মনে কর আমি ভিক্ষা করতে পছন্দ করি ? তিন বছর আমি এইভাবে ছিলাম , এইটাই আমার চান্স এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার, আমার নিজেকে প্রমান করতে হবে, কিন্তু তাঁর মানে আমি ওদের থেকে ভাল, এই জন্যে প্রমান করতে চাই তা নয়, উলটা আমাকে প্রমান করতে হবে যা যা আমি হারিয়েছি সে সব আমি আবার ফেরত আনতে পারি! “
সিনেমাটির চাইনিজ আকচুয়াল অর্থ দাড়ায় “ট্রু কালারস অফ অ্যা হিরোস” ৯৫ মিনিটের সিনেমা টির পরিচালক ছিলেন “জন উহো” উক্ত সিনেমাটি ১৯৮৭ সালে হংকং ফিল্ম এওয়ার্ডএ সেরা চলচ্চিত্র ও সেরা অভিনেতার পুরুষ্কার অর্জন করে, এছাড়াও ১৯৮৬ সালে গোল্ডেন হর্স এওয়ার্ড সেরা চলচ্চিত্র পরিচালকের পুরুষ্কার ও বেস্ট লিডিং এক্টর পুরুস্কার এবং সেরা চিত্রগ্রাহকের পুরুস্কার ও জেতে সিনেমাটি।