ভারতীয় সিনেমা দেশে আনতে যেসব শর্ত দিলো ১৯ সংগঠন

বিনোদন প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০১:৫৬ এএম

ভারতীয় সিনেমা দেশে আনতে যেসব শর্ত দিলো ১৯ সংগঠন

ভারতীয় সিনেমা আমদানিতে সম্মত হয়েছে চলচ্চিত্র সংক্রান্ত ১৯টি সংগঠন। তাই দেশের হলগুলোতে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনে আর কোনো বাধা থাকছে না। তবে লিখিতভাবে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে ১৯টি সংগঠনের নেতারা।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের ব্যানারে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব শর্ত জমা দেন।

এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের বর্তমান আপদকালে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র দর্শকদের হলে ফিরিয়ে আনা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিম্নলিখিত শর্তাবলি সাপেক্ষে বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র আমদানি করা যেতে পারে।

১৯ সংগঠনের দেওয়া শর্তগুলো:

  • শুধুমাত্র বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশকগণ বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র আমদানি করার সুযোগ পাবেন।
  • বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র পরীক্ষামূলকভাবে শুধুমাত্র ২ বছরের জন্য আমদানি করার সুযোগ থাকবে।
  • বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র আমদানি করার জন্য সরকারি অনুমতি পাওয়ার পর উপরে উল্লিখিত চলচ্চিত্র আমদানিকৃত প্রথম বছর ১০টি ও পরবর্তী বছর ৮টি চলচ্চিত্র আমদানি করতে পারবে। এখানে উল্লেখ থাকে যে, সকল প্রেক্ষাগৃহ প্রতিবছর ৫২ সপ্তাহের মধ্যে ২০ সপ্তাহ আমদানিকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করতে পারবে।’
  • আমদানিকৃত বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র মুক্তিকালে অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড এর ছাড়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি আমদানিকৃত চলচ্চিত্রের সঙ্গে বাজারে টিকে থাকার জন্য আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সরবোর্ডকে নমনীয় হতে হবে।
  • বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও দুর্গাপূজার সপ্তাহে বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না।
  • আমদানিকৃত বিদেশি ছবি (উপমহাদেশীয় ভাষার) আমদানি করার পূর্বে অথবা অনুমতি পাওয়ার পর প্রতিটি চলচ্চিত্রের জন্য আমদানিকারক সংস্থা নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুদান (আলোচনা ও শর্ত সাপেক্ষে) সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের তহবিলে জমা দিতে হবে। উল্লেখিত অনুদান চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট স্ব স্ব সংগঠনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও কল্যাণের ব্যয়ে ব্যবহৃত হবে। এখানে উল্লেখ থাকে যে, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদান করা হবে।
  • শর্তসাপেক্ষে বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র আদমানির জন্য আবেদনকালে আবেদনপত্রের সঙ্গে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের ছাড়পত্র সংযুক্ত থাকতে হবে।

এছাড়া, তথ্যমন্ত্রীর সাথে ওই বৈঠকে বিদেশি চলচ্চিত্র (উপমহাদেশীয় ভাষার), দেশীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্য, বাংলাদেশের বন্ধ হয়ে থাকা প্রেক্ষাগৃহকে আধুনিকায়ন করে চালু করা ও নতুন প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়।

Link copied!