বেটা
বিনোদন প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম
গতকাল শুক্রবার দুপুরে একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইনে ঢালিউড অভিনেত্রেী অপু বিশ্বাসকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ‘কে কাকে ছোট করছে, সেই বোধবুদ্ধি আমার আছে’—এই শিরোনামে অপুর মন্তব্যে লেখাটি প্রকাশের প্রায় সাত ঘণ্টা পর তাঁর ফেসবুকে সাড়ে চার শ শব্দের লম্বা স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢালিউডের অপরিএক অভিনেত্রী বুবলী। মুহূর্তে ভাইরাল স্ট্যাটাসটি। যদিও পোস্টটিতে বুবলী কারও নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু অনেকেই ধারণা করছেন, অপুর মন্তব্যের সূত্র ধরেই স্ট্যাটাসটি লিখেছেন বুবলী। আর এতেই অপু অনুসারী ভক্তরা বুবলিকে নিয়ে ‘নেতিবাচক’ মন্তব্য দেওয়া শুরু করে।
শুক্রবার বুবলী একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছে। দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের পাঠকদের জন্য ওেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই কারো নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইংগিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহন করবো, কারন আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
কিছুদিন পর পর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদের কে দিয়ে করায় তাদের সমস্ত কিছু সোশাল মিডিয়া, পত্রিকা এবং ইউটিউবে রয়েছে যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে।
এসব নোংরামী পাত্তা দেবার রুচি থাকেনা বলেই কথা বলা হয়না কিন্তু চুপ থাকাকে যদি সে বা তারা সুযোগ পাওয়া মনে করে তাহলে তা হবে তাদের চরম ভুল...
আশেপাশে হাজার কিছু হলেও দিন শেষে আমাকে নিয়েই এসব ব্যক্তির ব্যস্ততা এমনকি নাওয়া খাওয়া সব থাকে আমার চিন্তায়...এদেরকে response করতেও রুচিতে বাঁধে..
আর হ্যা! আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনই দুমুখো সাপের আচরন করতে শেখায় নি, সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেক বার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারন জনগনের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায় নি , গিরগিটির মত রং বদলাতে শেখায়নি, কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষনেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায় নি, বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানান টক শো তে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মত হাসতে শেখায়নি, মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসামী শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি, কাউকে নানান অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায় নি, বাস্তব জীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি,তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে নাটক করতে পারিনা ..
কিন্তু আমি এসব না শিখতে পারার জন্য গর্বিত.. কারন এসব যে পারে সে অনায়েসেই লিজেন্ড শাবানা ম্যাম এর মত এতো সিনিয়র ব্যক্তিত্ব নিয়ে অপমান জনক বেফাঁস মন্তব্য করে বসতে পারে, কঠোর পরিশ্রম করে নিজের মত এগিয়া যাওয়া নুসরাত ফারিয়া কে নিয়ে অপমান করে কথা বলে মুখটাকে বিশ্রী করে ব্যঙ্গ করতে পারে, ভালো মনের মানুষ বর্ষা আপুকে নিয়ে অপমান জনক কথা বলতে পারে, মাস্টারমেকার পরিচালক শ্রদ্ধেয় মালেক আফসারী স্যার কে নিয়ে অপমান করে কথা বলতে পারে যা কিনা রীতিমত তার পারিবারিক শিক্ষাকেই উপস্হাপন করে, এজন্যই বলে ব্যবহারই বংশের পরিচয়..
কত বাজে নিচু মানসিকতার হলে সে একজন নিষ্পাপ বাচ্চাকেও কটুক্তি করতে ছাড়েনি, কিছুদিন আগে ইংগিতপূর্ণ ভাবে আমার সন্তানকে নিয়ে ক্যামেরার সামনে বাদরের মত মুখ ভেংচি কেটে বাজে মন্তব্য করতে ছাড়েনি..
আমি মা হিসেবে ভালোবেসে আমার সন্তানকে নিয়ে কি করবো বা আমার সন্তানের ভালোর জন্য কি করবো সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, who the hell are you to talk about that ?
সারাক্ষন নানান মিথ্যা বানোয়াট উস্কানীমুলক ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলে অথচ পরে আবার বলবে সে ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলেনা, সারাক্ষন মানুষকে ছোট করে কথা বলবে কিন্তু পরে বলবে সে মানুষকে ছোট করে কথা বলেনা!
How weird !
একেক সময় একেক রং ধারন করে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার নগ্ন খেলা এসব বহুরুপী cheap mentality’র ব্যক্তিই পারে...
Shame!’
এই স্ট্যাটাসের পরই অনেকে নেটিজন বুবলীর বিপক্ষে মন্তব্য করেছেন। মোনালিসা রহমান বন্যা নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আইন কি শুধু আপনার জন্য অপু বিশ্বাস চাইলে সেই কয়েক বছর আগেই আইনের ব্যবস্থা নিতে পারত যখন আপনি অপু বিশ্বাসের হাসবেন্ডের সাথে পরকীয়া লিপ্ত ছিলেন.. অপু বিশ্বাস আপনার সম্পর্কে এটা ওইটা বলতেই পারে আপনি তো আর অপু বিশ্বাসের বন্ধু না আপনি তো অপু বিশ্বাসের সতীন সো অপু বিশ্বাসের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা কেমনে করেন... একজনে সংসার ভেঙে আবার তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা কেমনে করেন ভাই।”
আশিক শেখ নামে আরেক নেটিজন লিখেছেন, “সত্যি বলতে আপা আপনি এত ভালো মানুষ হলে এই জগতে আাসতেন না + অন্যের সংসার ভেঙ্গে আপনার শেহজাদ আসতো না এই ভাবে।”
জনি তালুকদার নামের আরেক অনুসারী অপুর পক্ষ নিয়ে বুবলীকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘একা পারবেন না জেনে, ফারিয়া, অনন্ত-বর্ষা, শাবানা, শাকিব খান, মালেক আফসারীর ভক্তদের এক করে অপু বিশ্বাসের পেছনে লাগছেন। এমনকি ধর্মের বিষয়টাও টেনে আনলেন। আপনার হচ্ছে শিক্ষিত বুদ্ধি।’
সোনালী সোনা নামে আরেক নেটিজন লিখেছেন, “অপু অনেক ভালো আর অনেক ভালো ফ্যামিলির মেয়ে তাই তোকে কিছু করেনি,,আমার জামাইকে কেউ যদি তোর মত কেড়ে নিত তাতে আমি তার ১২ টা বাজিয়ে দিতাম,,অপু অনেক ভালো যে তোকে কিছু বলেনি,,তোর পারিবারিক শিক্ষা অনেক ভালো যে অপু বাচ্চা হতে গিয়েছিলো তখন তুই শাকিবের বিছানা গরমে ব্যস্ত ছিলি
তোর ফ্যামিলি তোকে এগুলো শেখায় বল??যে অন্যর সাজানো সংসার ভেঙে দিয়ে নিজে সংসার গড়তে।
এ ধরণের হাজারো মন্তব্যের মধ্যে বুবলীর পক্ষ নিয়ে আরফিন সামিয়া মন্তব্য করেছেন, ‘আপু, তুমি চুপ থাকলে মনে হয় ভালো। কারণ অপু বিশ্বাস সব সময় চায় তুমি রেগে যাও।’
