অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও লক্ষ্যে পৌঁছাতে স্টার্টআপ উদ্যোক্তা বাড়াতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ২৯, ২০২২, ০৮:২২ পিএম

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও লক্ষ্যে পৌঁছাতে স্টার্টআপ উদ্যোক্তা বাড়াতে হবে

বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশে পরিণত করতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। আর স্টার্টআপ এই বেসরকারি বিনিয়োগের বড় হাতিয়ার হতে পারে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ হাজার ২০০ স্টার্টআপ রয়েছে। প্রতিবছরই ২০০ স্টার্টআপ নিয়ে আসছে উদ্যোক্তারা। আর এই দশকে এই সকল স্টার্টআপে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ৭২কোটি ৩০ লাখ ডলার। যার মধ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগ ৬৯ কোটি ১০ লাখ ডলার।

শনিবার ঢাকা চেম্বার আয়োজিত "ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের স্টার্টআপ থেকে পরিপূর্ণ হওয়া : প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা " শীর্ষক সেমিনারে কী নোট উপস্থাপনে পাঠাও এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ এসব কথা বলেন।

ফাহিম আহমেদ আরও জানান, শুধু ২০২১ সালেই বিনিয়োগ এসেছে ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যেখানে শুধু ৩০ লাখ ডলার দেশের আভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ। স্টার্টআপে এমন অবস্থা বিরাজমান থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ বিনিয়োগ আসবে এখান থেকে। যার ফলে স্টার্টআপ থেকে ১৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে। আর ৭ লাখ ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সুফল ভোগ করবে।

স্টার্টআপের ফলে দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বলেন, স্টার্টআপের প্রভাবে ৫ হাজার কোটি ডলার লেনদেন হয়েছে শুধু মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।

তবে স্টার্টআপ নিয়ে সরকারের নীতিমালা সুনির্দিষ্ট না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। এছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের কাছে পৌছানোতেও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। তাই দ্রুত নীতিমালা প্রণয়ন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কারিকুলাম যোগ করার দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম বলেন, স্টার্টআপ ফেল করবে সেখান থেকে কিন্তু শিক্ষা নেয়ার সুযোগ আছে। আইডিয়াতে কিন্তু প্রতিবন্ধকতা আছে। আমাদের এটুআই বিভিন্ন ফান্ড দিচ্ছে, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ফান্ড আছে। সব মিলিয়ে কিন্তু আমাদের উদ্যোক্তারা সুবিধা দিতে কিন্তু এখন জেলা পর্যায়ে কিন্তু প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন সেবার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া হাইটেক পার্কে স্টার্টআপ ও ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আলাদা স্পেস দিয়েছি।

দেশে স্টার্টআপ পলিসি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য একটা খসড়া নীতিমালা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একসাথে কাজ করছে। যের ফলে ভবিষ্যতে ক্ষুদ্র ও স্টার্টআপ ব্যবসা উন্নতি করবে সেটা বলা যায়।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যৌ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিস এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান আহমেদ, চালডাল লি. এর পরিচালক তানভীর রশিদ, ফুডপান্ডার নির্বাহী পরিচালক সায়েদা আমব্রিন রেজা,বাংলাদেশ এঞ্জেলসের নির্বাহী পরিচালক নির্ঝর রহমান।  

Link copied!