চট্টগ্রাম মহানগরীরতে গত জুন ও জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ১২ শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এরা সবাই করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরনে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। গবেষকরা জানান, আক্রান্ত শিশুদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে এ তথ্য পেয়েছেন তারা। ১২ শিশুর মধ্যে ৮ জন বর্তমানে সুস্থ। চারজন এখনও চিকিৎসাধীন।
গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য–উপাত্ত জার্মানভিত্তিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আন্তর্জাতিক তথ্যভান্ডার ‘গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা’-তে গৃহীত হয়েছে। শনিবার (১৭ জুলাই) সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, শিশুরা সাধারণত জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, ক্ষুধামন্দ্য, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়েই চিকিৎসকের কাছে আসছে। এ ছাড়া আক্রান্ত শিশুদের ক্লান্তি, দুর্বলতার লক্ষণও দেখা গেছে।
করোনাভাইরাসের জীবনরহস্য উন্মোচনবিষয়ক এ গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতাল এবং জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ১২ শিশু এসেছিল। এদের মধ্যে ছয়জন মেয়ে। ৮০ ভাগ শিশুর বয়স ১০ বছরের মধ্যে। বাকি ২০ ভাগের বয়স ১৬ বছরের মধ্যে। ৯৫ ভাগ শিশুর উপসর্গ হিসেবে জ্বর এবং ৭০ ভাগের সর্দি-কাশি ছিল। আর এক শিশুর শরীরে কোনো উপসর্গই ছিল না।’
গবেষণার নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী, আবদুর রব মাসুম, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সঞ্জয় কান্তি বিশ্বাস ও নাহিদ সুলতানা। সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক আদনান মান্নান। গবেষক দলে আরও ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মিনহাজুল হক, রাজদীপ বিশ্বাস, আকরাম হোসেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ফাহিম হাসান রেজা। এ ছাড়া গবেষণা প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে ছিলেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) ভাইরোলজি বিভাগের গবেষক মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন।