করোনা মহামারিতে থমকে গিয়েছিল মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছিল। ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস হচ্ছিল না কারো। অফিস-আদালতে যাওয়া ছিল রীতিমতো দুঃস্বপ্নের মত। তবে ভ্যাকসিনের আগমন সবার মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। কোটি কোটি মানুষ স্বপ্ন বুনে চলেছেন। পৃথিবীর মানুষ এখন স্বস্তির শ্বাস ফেলছে।
এরই মধ্যে সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছে। এ নিয়েও নানা মুনির নানা প্রশ্ন। ভেতরে ভেতরে ভয়-শঙ্কা কাজ করছে। বিশেষত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘিরে। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাইড ইফেক্টের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাঁচার তাগিদে ভ্যাকসিন বা টিকা নিতেই হবে।
টিকা নেওয়ার পর কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এতে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা যাবে। কারণ টিকার প্রভাব সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় না। এর ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী। সেক্ষেত্রে নিজেকে আগে থেকে তৈরি করাটা জরুরি।
এজন্য যে কাজগুলো করতে হবে
• দিনে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে। পরিবর্তে সমপরিমাণ ফলের রসও খাওয়া যেতে পারে। পানির চাহিদা মেটাতেই এ পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
• সকালবেলা গায়ে রোদ লাগাতে হবে। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা করা দরকার। সেই সুবাদেই ছাদে কিংবা মাঠে গিয়ে সূর্যের তাপ দেহে লাগানো যায়। এতে শরীর-মন চনমনে থাকে।
• প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এজন্য যে করেই হোক কাজের ফাঁকে সময় বের করতে হবে। দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট মর্নিং কিংবা ইভিনিং ওয়াক করতে হবে।
• পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। রাতে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
• বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। কেননা মহামারী এখনও নির্মূল হয়নি।
• প্রতিদিনের ডায়েটে মৌসুমি ফল ও সবজি রাখতে হবে। নিয়মিত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ফলমূল খেতে হবে।
• বাইরে থেকে এসে পরহিত পোশাক-আশাক পরিষ্কার করতে হবে। ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে সেগুলো কাচঁতে হবে।
• ডায়েট চার্টে হলুদ, তুলসি পাতা, মধু, আখরোট, কাজুবাদাম রাখতে হবে। কাজের ফাঁকে এগুলো খাওয়া যায়।
• যারা ডায়াবেটিস রোগী, টিকা নেওয়ার পর অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণের ডায়েট মেনে চলতে হবে তাদের। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।