ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব থাকুক বা না থাকুক, তিনি রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত ছিলেন, উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড তিনি।
বুধবার ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা এবং মরদেহ ও আলামত গুমের মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর এ মন্তব্য করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, জয়ের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনেই হবে। তার বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ আছে।
আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন। যুক্তরাজ্য থেকে দুজন আইনজীবী আনার জন্য তারা পৃথক দুটি আবেদন জমা দেন।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ রয়েছে, তবে সেটি আইনি শর্তসাপেক্ষে।
এছাড়া, আরেক মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে হাজির করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
তাজুল ইসলাম জানান, জুলাই হত্যাযজ্ঞের মামলায় হাজির করা হয় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে। তাদের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য থেকে দুজন আইনজীবী আনার আবেদন করা হয়েছে। এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর।
এদিন ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা এবং মরদেহ ও আলামত গুমের মামলায় হাজির করা হয় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। উপস্থিত না থাকায় হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলায় সাক্ষী দিলেন মোট ২৪ জন।
সোর্স: সময় নিউজ