নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশের সোয়াট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ১১:৫৭ পিএম

নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশের সোয়াট

বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে ঢাকার নয়াপল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধেছে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ওই সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে বিএনপিকর্মীরা বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জড়ো হতে শুরু করে।

বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় মকবুল হোসেন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শত শত পুলিশের পাশাপাশি সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে ঢাকা মহানগর ‍পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট।

পুলিশের এই ইউনিটটিকে সন্ত্রাসবিরোধী নানা অভিযানে দেখা গেলেও রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে এই প্রথম এর ব্যবহার হলো।

সোয়াট প্রসঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের ফোর্স দরকার ছিল, কল করেছি, তখন বাড়তি ফোর্স এসেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিবি ও সোয়াট সদস্যরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়।’

সোয়াটকে কেন ডাকতে হলো, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পুলিশ যখন মনে করে, তখনই বিশেষ বাহিনীগুলোকে কল করা হয়।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপিকর্মীরা তাদের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশও সতর্ক অবস্থায় ছিল আশপাশের সড়কে।

উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বিকাল ৩টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ ধাওয়া দিলে বিএনপি কর্মীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ তখন রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোয়াট সদস্যদেরও দেখা যায় সেখানে।

সোয়াট নামানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শুনেছি ওখানে ককটেল বিষ্ফোরণ হয়েছে, তারা ডাল, লাঠি নিয়ে আসছে। আমাদের পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে শক্তি বৃদ্ধি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে অফিশিয়াল ডে (কর্মদিবস)। পূর্বানুমতি ছাড়া রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করবে, তা তো কাম্য নয়। সার্বিক নাশকতার আশঙ্কায় শক্তি বাড়িয়েছি।’

Link copied!