শ্রমনিবিড় ও রপ্তানিমুখী উৎপাদনভিত্তিক প্রবৃদ্ধিতে প্রণোদনা প্রদান, কৃষির বহুমুখীকরণ, ও আইসিটি খাতের উদ্যোগসমূহকে উৎসাহ প্রদান এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানকে সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার ফলে সরকার ২০২৫ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
শ্রমিক কল্যাণ ও কর্মপরিবেশ উন্নয়ন
বেকার জনসংখ্যার জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরির জন্য ‘কর্মসংস্থান অধিদপ্তর’ গঠনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিশু শ্রম নির্মূল এবং নারী শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যক্রম সামনের দিনগুলোতে আরও বেগবান করা হবে।
দক্ষতা উন্নয়ন
সরকার দক্ষতার উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। চলমান ও ভবিষ্যতের শিল্প-বাণিজ্যের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে শ্রমিকের দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে সরকার ‘স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (SEIP)’ এর মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। এছাড়া, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন, দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি, আন্তর্জাতিক সনদ প্রদান ইত্যাদি বিষয়েও কার্যক্রম পরিচালনা করে SEIP প্রকল্প দেশের মানবসম্পদ ও দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের অর্থায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত ‘জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল’-এর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করার জন্য স্থায়ী জনবল নিয়োগ শুরু হয়েছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ
প্রবাসে বাংলাদেশি কর্মীদের সম্মানজনক পেশা নিশ্চিতে বিদেশগামী কর্মীদের প্রশিক্ষণের গুণগতমান এবং ‘দক্ষতার স্বীকৃতি’ নিশ্চিত করবে সরকার। কর্মী নিয়োগে পেশাভিত্তিক ডাটাবেজ, মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ভিসা যাচাই, অভিবাসন বিষয়ক অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তির জন্য পৃথক পোর্টাল, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর কার্যক্রম অটোমেশন ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে এ খাতকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ে ১০০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণকাজ আরম্ভ করা হবে। এছাড়া, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৮.১০ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার এবং ৫.২০ লাখ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।