ফারজানা মিতু। বাস্তবতা আর পোড় খাওয়া জীবনের অলিগলি তুলে আনেন কলমে। প্রেম-অপ্রেম-বিষম প্রেম অথবা ট্রিলজি, তার সফল পদচারণা রয়েছে সবক্ষেত্রে। কখনো যাপিত জীবনের কঠিন নির্মমতা, কখনো বা প্রেমের রসায়ন তিনি তুলে ধরেন লেখায়। তার লেখায় উঠে আসে নতুন মাত্রা। ফারজানা মিতুর বই পাঠের প্রয়োজনীয়তা ঠিক এখানেই।
বাংলা সাহিত্যকে ধরাবাঁধা বৃত্তের বাইরে গিয়ে যারা নতুন রুপ দিতে চান তাদের মতো লেখকের সংখ্যা খুব বেশি নয় এদেশে। বইয়ের সংখ্যা অপেক্ষা মানসম্মত লেখা নিয়ে তার ভাবনা। তাদেরই একজন তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ফারজানা মিতু। যে আঁধারে তুমি নেই, পথে যেতে যদি আসি কাছাকাছি, আমার অদৃষ্টে তুমিসহ বেশ কয়েকটি পাঠকপ্রিয় বইয়ের মাঝেই খুঁজে পাওয়া যায় তাকে।
লেখার মাঝেই পাঠক হৃদয়ে ছড়িয়েছেন ভালোবাসার সংক্রমণ। সেই সংক্রমণ থেকেই পাঠক মহলে তার লেখা বইয়ের চাহিদা এবং অভাব স্পষ্ট। এবারের একুশে বইমেলাতেও বেরিয়েছে তার থ্রিলার সাইলেন্স।
ফারজানা মিতু তার নতুন থ্রিলার সম্পর্কে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নতুন থ্রিলার সাইলেন্স সম্পর্কে বলেন, এটি আমার একটি পলিটিক্যাল থ্রিলার। সাইলেন্স একটি ট্রিলজি। ২০২০ সালে এসেছিলো “মুখোশ”, ২০২১ সালে এসেছিলো “স্কেচ” এবং এবার আসছে শেষ পর্ব এই “সাইলেন্স”। বইটি প্রকাশ করছে নালন্দা প্রকাশনী।
বইটি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, সাইলেন্স যেহেতু একটি ট্রিলজি তাই ঘটনার সূত্রপাত মুখোশ বই থেকেই। মুখোশে বলেছিলাম আফজাল চৌধুরী নামে একজন বিজনেস টাইকুনের গল্প। কিভাবে উনি মুখোশধারী কিছু মানুষের মুখোশ উন্মোচণ শুরু করেছিলেন। সেই থেকে শুরু, তারপর স্কেচ বইয়ের ঘটনা এগিয়ে গিয়েছে ১৮ বছর পর থেকে তারই ছেলে আবরার চৌধুরীকে নিয়ে। আর সেই ধারাবাহিকতায় কাহিনী এগিয়ে গেছে সাইলেন্সে। কিছু ইনভাইটেশন কার্ড, কিছু সিলেক্টেড গেস্ট এবং একটি খুন। এভাবেই ঘটনা এগিয়ে গেছে। রাজনীতির প্রেক্ষাপট একজন মানুষকে কোথায় টেনে নেয় সেটাই বলা হয়েছে সাইলেন্সে।
মুলত তরুণ সমাজকে লক্ষ্য করেই বইটি লেখা। ওরা থ্রিল চায়। সাসপেন্স চায়। আর সেটা মাথায় রেখেই সবসময় ইচ্ছা থাকে পাঠককে নতুন কিছু দেবার। পাঠক চায় চমক আর সেটা ভেবেই চেষ্টা থাকে নতুনত্ব আনার। কিছু পাঠক থাকে যারা আমি যা লিখবো সেটাই পড়বে খুবই আগ্রহ সহকারে। আমি পাঠককে ঠকাই না। আমি নিজের লেখায় তাই কখনো রোমান্টিকতা, কখনো সামাজিক প্রেক্ষাপট আবার কখনো থ্রিল আনার চেষ্টা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি। আগামীতে আরও নতুন কিছু আসবে।