শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১১, ২০২৫, ০৫:০০ পিএম

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন

বৃষ্টিধারার মধ্যে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখক, সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, বিশিষ্টজনসহ সর্বস্তরের মানুষ।

আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজার পর তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ছিলেন মেধাবী ছাত্র ও শিক্ষক। বাবার আদর্শ অনুসরণ করে তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক হয়েছেন। সাহিত্য, শিল্পকলা সমালোচনা ও নন্দনতত্ত্ব বিষয়ে উঁচু স্তরের লেখক ছিলেন। তিনি কখনো হতাশ হতেন না এবং ছিলেন বিনয়ী। তাঁর প্রয়াণে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনেক বছর একসাথে থেকেছি। তিনি খুব জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন। বৃষ্টির মধ্যেও এত মানুষের সমাগম তাঁর জনপ্রিয়তার প্রমাণ। তিনি নির্লোভ, বিনয়ী এবং নতুন লেখকদের উৎসাহ দিতেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমরা দুজনেই সিলেটের মানুষ। পরিবেশ ইস্যুতে একসাথে কাজ করেছি। তিনি গভীর প্রজ্ঞাবান ও নিঃস্বার্থ মানুষ ছিলেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ অপরাজেয় বাংলার সামনে রাখা হয়। সেখানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, ইংরেজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সংগীত বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জীবনী ও কর্মের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমাদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের বোন সাহিদা সাত্তার বলেন, “আমার ভাই কতটা জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন তা আমরা অভিভূত হয়ে দেখছি। হাসপাতালে এবং আজ বৃষ্টির মধ্যেও এত মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।

Link copied!