শহিদ মিনারে সমবেদনা ও শ্রদ্ধায় সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শেষ যাত্রা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১১, ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম

শহিদ মিনারে সমবেদনা ও শ্রদ্ধায় সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শেষ যাত্রা

লেখক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যসমালোচক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে শেষ বিদায় জানাতে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটে আসেন তাঁর সহকর্মী শিক্ষক, ছাত্র, সরকারের উপদেষ্টা, লেখক, রাজনীতিক এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি।

সহযোদ্ধা ও শুভানুধ্যায়ীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হয় তাঁর মরদেহ।

দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলা শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বে একে একে ফুল দিয়ে বিদায় জানান বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এ সময় তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা। তাঁদের সকলেই সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে একজন নির্লোভ, সৎ, বিনয়ী ও উদার মনের মানুষ হিসেবে স্মরণ করেন।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “তিনি ছিলেন অসাধারণ জ্ঞানী ও বিনয়ী মানুষ। নিজের বিশ্বাসে অটল থেকেও অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতেন। নতুন লেখকদের উৎসাহ দেওয়া ছিল তাঁর অন্যতম গুণ।

বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “তিনি ছিলেন সকলের শ্রদ্ধার পাত্র। তাঁর ব্যক্তিগত অবস্থান ছিল স্পষ্ট, কিন্তু ভিন্নমতকেও তিনি শ্রদ্ধা করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা জাতি আজ একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে হারাল।

এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম চিত্রকলা, নন্দনতত্ত্ব ও ইংরেজি সাহিত্যের পাশাপাশি নাট্যচর্চায়ও যুক্ত ছিলেন। তিনি সবসময় নতুন ভাবনা ও সৃজনশীলতায় বিশ্বাস করতেন। তাঁকে কখনো বিষণ্ন দেখিনিসবসময় কাজে নিমগ্ন ছিলেন। তাঁর জীবন ও কাজ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কাফী রতন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্কসবাদী), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, কথাসাহিত্যিক মো. হেলাল, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, শিল্পকলা একাডেমি, অন্যদিন ও অন্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম, হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান ফোরাম, রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদের পক্ষে কবি দিলারা হাফিজ ও তুষার দাস, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, সাইয়েদা সাত্তার বেবি এবং এথিকস ক্লাব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নেওয়া হয়, যেখানে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে মরদেহে শ্রদ্ধা জানান কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, ইংরেজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সংগীত বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

Link copied!