আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আজাদ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ৭, ২০২১, ০৬:১৮ পিএম

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আজাদ

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে দুদকের মামলায়, অবশেষে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরবর্তী ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত  এই জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এদিন সকালে এই আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন আবুল কালাম আজাদ।  শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এরআগে গত ৫ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু বিচারক অন্য মামলায় ব্যস্ত ছিলেন। এজন্য তিনি এ মামলায় শুনানি গ্রহণ করতে পারেননি। বিচারক তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে আসার জন্য বলেন। এরপর তার আইনজীবী আত্মসমর্পনের আবেদন তুলে নেন। 

সম্প্রতি আবুল কালাম আজাদ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

চার্জশিটভূক্ত অপর ৫ আসামি হলেন- রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ( হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ( হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।

চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখান থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩,৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মরকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ ( ২ ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

Link copied!