এবার ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে আলোচনায় সেই চেয়ারম্যান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৮, ২০২২, ০৫:৩৩ পিএম

এবার ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে করে আলোচনায় সেই চেয়ারম্যান

আবারও আলোচনায় এসেছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। এবার নিজের ছেলের বান্ধবিকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের বিষয়টি তিনি বিভিন্ন সময় অস্বীকার করলেও সম্প্রতি বিয়ের একটি দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তিনি এ বিষয়ে মুখ খোলেন।

এর আগে, ২০১৩ সালে সপ্তম শ্রেনির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

সাঈদ মেহেদীর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তাহমিনা আক্তার মিনা (২২)। তিনি মৌতলা ইউনিয়নের আব্দুল মাজেদের মেয়ে। বর্তমানে তহমিনা আক্তার মিনা খুলনা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী।

কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের বাসিন্দা সাঈদ মেহেদী বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সরকারি কোয়ার্টারে অবস্থান করছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। দ্বিতীয় স্ত্রী তহমিনা ছিলেন সাঈদ মেহেদীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে অনিক মেহেদীর বান্ধবী। ২০১৮ সালে তহমিনা ও অনিক মৌতলা শিমুরেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিজের ছেলের বান্ধবিকে বিয়ের বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী গণমাধ্যমে বলেন, সরকারি কোয়ার্টারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা অবস্থান করছেন। তাকে ৪ বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী লাভলী পারভীন জানান, “তার স্বামীকে ট্রাপে ফেলে বিয়ে করেছেন তাহমিনা। এখন সে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে অবস্থান করছে।”

সাঈদ মেহেদীর দ্বিতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে অমি কিছু জানি না।”

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা হয়েছিল উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রটির বাড়ি আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এলাকায় বলে জানা গেছে।

Link copied!