নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৩:৫০ পিএম
চট্টগ্রামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি নাইমা সুলতানার দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে একই দিন দুপুরে বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।
চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রশিকিউশন) মো.কামরুল হাসান।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১৯ অক্টোবর পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বাদী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী ইলিয়াস হোসেনকে এক নম্বর আসামি করে খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এই মামলায় মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা বাবুল আক্তারসহ তার ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়।
এই মামলায় বৃহস্পতিবার বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আর্জি জানায় পুলিশ। পরে আদালত বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আক্তারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে 'স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব' শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করেছেন। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এর আগে পিবিআই হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। স্বীকারোক্তি আদায়ে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত ৮ সেপ্টেম্বর এই আবেদন করেছিলেন তিনি।
গত ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালতে ফেনী কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন বাবুল। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত।