করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতির অবনতি হলে ফের বিধিনিষেধ জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
জীবন-জীবিকার তাগিদে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে ফের বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুটি কৌশলই অবলম্বন করব। একটা হলো বিধিনিষেধ বা লকডাউন দেয়া। আরেকটি হচ্ছে ছেড়ে দেয়া। কিন্তু সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।’
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর মেয়াদ বাড়িয়ে ৬৬ দিন করা হয়েছিল। এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় গত ২৯ মার্চ যে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়, সেটি কার্যত কোনো ফল দেয়নি। এই কঠোর বিধি-নিষেধও নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যে কারণে দুই দফায় সেই বিধি-নিষেধ শিথিল করে সরকার। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে 'সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করে সরকার। গত ১ জুলাই থেকে চলাচলে আবারও লকডাউন শুরু হয়। মাঝখানে কিছুদিন বিরতি দিয়ে কয়েক দফায় বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করা হয়।
১১ আগস্ট থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। অফিস-আদালত-ব্যাংকের পাশাপাশি দোকানপাট ও শপিংমল খুলে গেছে। গণপরিবহণ অর্ধেক চলার বিধিনিষেধ ছিল। সেটিও তুলে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) শতভাগ গণপরিবহন চালুর অনুমতি দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে যা বলা হয়েছে:
১. যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
২. পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।
৩. সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৪. যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।